ছাত্ররাজনীতির পক্ষে বিপক্ষে উত্তাল বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। নিয়ম ভেঙে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে শিক্ষার্থী ইমতিয়াজসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে টার্ম পরীক্ষা। শিক্ষার্থী আনা নেয়া করা সব পরিবহনই ক্যাম্পাসে ফিরেছে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে।
ফলে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাসে এখন শুনশান নিরবতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন এলাকায় কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। তবে অফিস খোলা রয়েছে। চলছে দাপ্তরিক কাজ।
আন্দোলনের তৃতীয় দিনে বুয়েটে ফের ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ শাখার নেতা-কর্মীরা। তবে সকাল সাতটা থেকে তৃতীয় দিনের মতো বুয়েট শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনে নামেননি নিরাপদ বুয়েটের ৬ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ একদল নেতা-কর্মী বুয়েটে ‘মহড়া’ দিলে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও গত বুধবার মধ্যরাতে আবারো ছাত্রলীগের সদস্যরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম করেছে। যে কারণে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
বুয়েট প্রশাসনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করা এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন আবিরের হলের সিট বাতিলকে অন্যায্য দাবি করে আজ সমাবেশ ডেকেছে ছাত্রলীগ। এমন পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল সাতটা থেকে আন্দোলনে নামার কথা থাকলেও নিরাপত্তার মতো অনিবার্য কারণে তারা আজ এখনো মাঠে নামেননি৷ তবে ঘোষণা অনুযায়ী, টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন আজও চলছে। বিকেলের দিকে বুয়েট শহীদ মিনারে তাদের সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। সেখানে তাঁরা তাদের বক্তব্য জানাবেন।