শিক্ষক লাঞ্চনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্তের পর আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষকেরা। ফলে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১৪ দিন অচলাবস্থার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি এবং শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে যথারীতি অংশ নিয়েছেন।
এর আগে, রোববার অভিযুক্ত কর্মকর্তা সামসুল হককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কৃষি কুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে কর্মকর্তা সামসুল হক পোস্ট-হারভেস্ট টেকনোলজি অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের ডাক দেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে। কমিটি ২২ ফেব্রুয়ারি সামসুল হককে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার (৩ মার্চ) রাত ১০টায় পবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তর অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক লাঞ্ছণার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা সামসুল হক রাসেলকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদিন রাত ১১ টায় পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (৪ মার্চ) থেকে সকল শিক্ষক যথারীতি একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।