বুধবার দিবাগত রাত ২টার আগ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি বিষন্ন পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেগুলোতে বিষন্নতা ও কাউকে না পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে। তবে সেই আকুলতা ছাপিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি মেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আরিফ মিয়া নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ। পরে মরদেহটি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মৃত আরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
জানা যায়, আরিফ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থিত এল সেইফ নামক বাসায় থাকতেন। সেখানে ভোর ৪টার দিকে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার পর এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সকাল ৮টায় পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আরিফের আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে জেনেছি। এর আগেও একবার এমন চেষ্টা করেছিল। সে মানসিক সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিল। পুলিশ ময়নাতদন্ত করবে। তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা আসছেন।
এদিকে মৃত আরিফ সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে লেখাছিল, ‘বিষন্ন রজনী, কিছু চাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার নেই। ছাড়তে হবে চেনা গলি, চেনা রাস্তা, চেনা জগৎ। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। এই যে প্রেম, এই যে সৌন্দর্য, এই যে শরীর, নিরর্থক। এখানে স্রষ্টার নজরও আসে না। সময় মেপে নিয়ম করে সূর্য-চন্দ্র জিয়িয়ে রাখে কিছু আকুল প্রাণ। জীবনটা এখানে কীটপতঙ্গের। ভালোবাসা এখানে স্থবির।’
নিহতের সহপাঠী ও শিক্ষকরা জানায়, আরিফ মিয়া হতাশায় ভুগছিলেন। যা তার সবশেষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে বুঝা যায়।