প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের চেয়ে নতুন প্রজন্মের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে বেশি ডলার চলে যাচ্ছে বিদেশে। এই অঙ্কটা ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। এছাড়াও পোশাক শিল্পের মতো দেশের বহুজাতিক শীর্ষ পদগুলোও দখলে রয়েছে বিদেশীদের। এই অবস্থার উত্তরণে দরকার দক্ষতামুখী শিক্ষা। সেই সুযোগটাই এবার এনে দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রোভাইডার ইউসিবি বাংলাদেশ।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী,পেশাজীবি ও অভিভাবকদের নিয়ে শনিবার গুলশান ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো ওপেন ডে সেলিব্রেশন। এসময় ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের এক্সক্লুসিভ পার্টনার হিসেবে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের তিন বছর মেয়াদী বিএসসি ডিগ্রি কোর্স চালুর ঘোষণা দেয় ইউসিবি। জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রোভাইডার ইউসিবি বাংলাদেশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্রম –দুই ধারার শিক্ষার্থীরাই এখন ঢাকায় বসেই ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারবেন। অফলাইন-অনলাইন দুই পদ্ধতিতেও শিক্ষাকার্যক্রম চলবে। ক্রেডিট ট্রান্সফার সহ বৃত্তি সুবিধাও রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনুষ্ঠিত হয় ভবিষ্যতের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে প্যানেল আলোচনা। আলোচনায় শুধু একাডেমিয়া নয়, সব খাতের মানুষের মত নিয়েই শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা। বক্তারা মনে করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি অর্থনীতি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স ও সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বিগডেটা ও গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট প্রফেসর ড. হিউ গিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে ইউওএল প্রোগ্রামসের অ্যাসোসিয়েট অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ড. জেমস অ্যাবডে, ইউসিবি’র ডিন অফ অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার পরিচালক স্টেভ ক্যালান্ড স্কোবল।
আলাচনা শেষে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের নানা প্রশ্নের জবার দেন বক্তারা।