আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৭০-৮০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা যাবে। এ জন্য ১ লাখ ১০ হাজার মেশিনকে মেরামত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তির আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৫ মার্চ) কমিশনের ১৬তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে ১ লাখ ১০ হাজার মেশিনকে মেরামত করে আমরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সংখ্যাটি (কতটি আসনে কতটি ইভিএম ব্যবহার হবে তা) চূড়ান্ত করতে পারব। কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।’
হাতে থাকা ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিষেয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ ছাড়ে চিঠি দেওয়া হবে। অর্থ প্রদানে সম্মতি দেওয়া হলে পরবর্তী ধাপে আমরা জানাতে পারব কোন কোন আসনে কতটি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করতে পারব।’
সর্বোচ্চ ৬০-৭০টি আসনে সম্ভব কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সংখ্যা নির্ভর করছে ইভিএমের ওপর। যেগুলো আছে এর মধ্যে কতগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারব তার ওপর নির্ভর করছে কতটি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। আমাদের সক্ষমতা নিয়ে কমিশন সব সময় বলেছে, ৭০-৮০টি আসনে সর্বোচ্চ ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। এটা আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদূর সম্ভব বেশিসংখ্যক আসনে ইভিএমে ভোট করা হবে। নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা একেক জায়গায় একেক রকম। যদি ছোট এলাকা নেওয়া যায় তাহলে বেশি আসনে নেওয়া যাবে। বড় এলাকা হলে কম আসনে ইভিএম করতে হবে। ইসি সচিবালয় এসব বিষয় চূড়ান্ত করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করবে।’