‘মানুক হাউজ’ থেকে গভর্নর হাউজ। ভিক্টোরীয় স্থাপত্যশিল্পের সঙ্গে ইসলামী ও বাঙালি স্থাপত্যের সমন্বয়ে অনন্য এক নিদর্শন এ ভবনটি এখন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন। দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত প্রাসাদ ‘বঙ্গভবন’ এবার সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করে দেয়া হচেছ দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য। চলছে তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন। ১৯৬৫ সালে নির্মিত হলেও পরিত্যক্ত এয়ার রেইড শেল্টার হাউজটি পরিভ্রমণ করা যাবে অনলাইনেও। শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন তাই দেখা যাবে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আধুনিক ল্যান্ডস্কেপে সাজানো বঙ্গভবনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ উদ্যান, দুম্বা শেড, হরিণ পার্ক, দৃষ্টিনন্দন চারটি পুকুর ও একটি সুইমিং পুলসহ নানা দর্শনীয় স্থান। অনলাইনে টিকিট কিনে দর্শনার্থীরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দেশের জন্য ভালো কাজ করেছেন- এমন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরটি উদ্বোধন এবং বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সংস্কৃতির বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক, এমপি এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বঙ্গভবন রূপান্তরের সার্বিক কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে বৈঠক করেছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বঙ্গভবন আর্কাইভের অগ্রগতি তুলে ধরেছিলেন তিনি।