মাইনক্র্যাফটের ৭০ হাজার ঘণ্টার ফুটেজ দেখিয়ে একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে (এআই) গেম খেলতে শিখিয়েছেন এআই গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’-এর গবেষকরা। আর এটি এখন এতো ভালো গেম খেলছে যে মানব গেমারদের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে এর কার্যক্ষমতা। অর্থাৎ গেম খেলায় মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পটু হয়ে উঠছে এআই।
প্রশিক্ষণ শেষে এআইটি এখন গেমের ভেতরে ‘সব ধরনের জটিল কাজ করতে সক্ষম’ বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার। গেমের ভেতরে সাঁতার কাটা, শিকার করা, শিকার করা প্রাণীর মাংস খাওয়া, এর সবই করতে পারে এআইটি। এমনকি ‘পিলার জাম্প’ও পারে ওই এআই।
এ প্রসঙ্গে এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, “যদিও আমরা কেবল মাইনক্র্যাফটে পরীক্ষা চালিয়েছি, গেইমটি ওপেন-এনডেড এবং গেইমারদের ব্যবহৃত দুই মূল ইন্টারফেইস– মাউস ও কিবোর্ডের ব্যবহারও এখানে খুবই সাধারণ। তাই আমরা মনে করি যে (এআইয়ের) কম্পিউটার চালানোর মতো একই ধরনের কাজের জন্যও এটি সুখবর।”
তিনি জানিয়েছেন, এআইটির সবচেয়ে বড় অর্জন সম্ভবত এর গেইমের ভেতর হীরা দিয়ে টুল বানানোর সক্ষমতা। গেমের ভেতর এ কাজটি করতে অনেকগুলো জটিল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয় গেমারকে। ওপেনএআই নিউরাল নেটওয়ার্কের এই সক্ষমতা একটি কম্পিউটারের জন্য ‘অভাবনীয় সাফল্য।
টেকরেডার বলছে, নিউরাল নেটওয়ার্কটির সাফল্য এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে ওপেনএআইয়ের নতুন কৌশল ‘ভিডিও প্রিট্রেইনিং (ভিপিটি)’ এর কার্যকারিতার প্রমাণ দিচ্ছে। ওপনএআই বলছে, সাধারণ কম্পিউটার কেন্দ্রীকি এআই প্রযুক্তি নির্মাণের গতি আরও বাড়াবে এই প্রশিক্ষণ কৌশল।
বলা হচ্ছে, ফুটেজ থেকে শেখার পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক গেমারদের গেমের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু জটিল কাজ সম্পন্ন করার ভিডিওর ছোট একটি ডেটাবেজ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কটি। এর পাশাপাশি, গেমারদের মাউস ও কিবোর্ড ইনপুটের তথ্যও ছিল ডেটাবেজে।