এশিয়ায় ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুটি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (আজিয়াটা) এবং টেলিনর গ্রুপ (টেলিনর)। একীভূতকরণের পর নতুন এই উদ্যোগের নাম হতে পারে মার্জকো।
সোমবার টেলিনরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। তবে রবি আজিয়াটা সম্ভাব্য এ মার্জার প্রক্রিয়ার অংশ নয় বলে নিশ্চিত করেছেন রবি আজিয়েটার ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম কবির।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বমানের দুটি টেলিযোগাযোগ গ্রুপের সম্ভাব্য এই মার্জার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে রবি, আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের অধীন একটি আলাদা ও স্বতন্ত্র কোম্পানি হিসেবেই পরিচালিত হবে। এর অর্থ হলো এশিয়ার এ সম্ভাব্য বৃহৎ মার্জার বাংলাদেশের মোবাইল টেলিকম মার্কেটে কোনো সরাসরি প্রভাব ফেলবে না। যদিও এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, গ্রুপ পর্যায়ে সম্ভাব্য মার্জারের এই পুরো প্রক্রিয়াটিই এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়ে গেছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের লিখিত চুক্তির ওপর নির্ভরশীল।
অপরদিকে টেলিনরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই একীভূতকরণ নগদ অর্থের ভিত্তিতে নয়, বরং অবকাঠামো ও সম্পদের ভিত্তিতে হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। একীভূত হওয়ার পর টেলিনর ও আজিয়াটা তাদের সকল অবকাঠামো একসঙ্গে ব্যবহার করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, মার্জকোর ৫৬.৫% শেয়ার থাকবে নরওয়ে ভিত্তিক কোম্পানি টেলিনরের অধীনে। আর বাকি ৪৩.৫% শেয়ার থাকবে মালয়েশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি আজিয়াটার অধীনে।
প্রসঙ্গত, এশিয়ার নয়টি দেশে আজিয়াটার ১২টির বেশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা ব্যবসা রয়েছে। সম্ভাব্য এই মার্জার প্রক্রিয়ার অনেক বিষয় এখনো চূড়ান্ত হওয়া বাকি এবং তা দুই পক্ষের একমত হওয়ার ওপর নির্ভরশীল। বিনিয়োগকারীদের কাছে পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থেই আজিয়াটা স্বেচ্ছায় সম্ভাব্য মার্জার বিষয়ক আলোচনার বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবি আজিয়াটা লিমিটেড, মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ, ভারতের ভারতী এয়ারটেল এবং জাপানের এনটিটি ডোকোমোর একটি যৌথ উদ্যোগ। এ কোম্পানিতে আজিয়াটার ৬৮.৭ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ এবং এনটিটি ডোকোমোর ৬ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।