প্রায় সময়ই সাধারণ গ্রাহকদের সাথে রিটেইলারদের ঝুট ঝামেলা বাদে তার রিচার্জ এর অর্থ সে পায়নি। প্রকৃতপক্ষে সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে মোবাইল ফোন অপারেটররা সাধারণত ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। এই ধরনের সেবার মধ্যে সবচাইতে প্রতারিত হয় ফিচার ফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকরা। বর্তমানে দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৬৭ হাজার। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৫ লাখ ৬১ হাজার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার। এর মধ্যে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬৩ হাজার। দুই ধরনের সেবা প্রদানের ফলে অপারেটররাও দুই ধরনের প্যাকেজ বাজারে ছাড়ে। দুই ধরনের অপারেটর সংখ্যা প্রায় শতাধিক।
এ সকল অফার এর মধ্যে কোনটি কোন ধরনের সেবা তা অনেক সময় রিটেলার ভুলে যান। ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণ গ্রাহক হিসেবে তারা তাদের সামর্থের মধ্যে রিচার্জ করে থাকে। এই ধরনের রিচার্জ করতে গিয়ে অনেক সময় রিটেলার রা গ্রাহককে ইন্টারনেট প্যাকেজ দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে রিটেলার ও গ্রাহকদের মধ্যে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিমহিউদ্দিন আহমেদ। তার মতে, গ্রাহকরা যেহেতু ওই ইন্টারনেট অফার দিয়ে সে ভয়েস কল করতে পারছে না, রিচার্জকৃত অর্থ ফেরত পাচ্ছে না ফলে গ্রাহকদের এই অর্থ এক প্রকার লুটপাট হয়ে যাচ্ছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফিচার ফোনে অব্যবহৃত ইন্টারনেট যেহেতু অপারেটররা অন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের কাছ থেকে কাছে বিক্রি করছে তাই ফিচার ফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিস্তৃত অর্থ ফেরত প্রদান করাটা একটি মানবিক বিষয়। যদিও বাধ্যবাধকতা মূলক কোনো আইন নেই তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটররা চাইলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে এক গ্রাহকের কথা তুলে ধরে বলেন, গতকাল রাতে মিলন নামের এক ব্যক্তি পেশায় রাজমিস্ত্রি নারায়ণগঞ্জ, ফুতুল্লা, রঘুনাথপুরের একটি মোবাইল রিচার্জ দোকানে এসে বাংলালিংকে ৫৮ টাকা দেওয়ার কথা বলে। দোকানদার তার সিমে ৫৮ টাকার রিচার্জ করে দেয় কিন্তু পরক্ষণেই ওই ব্যক্তর দেখতে পায় তার একাউন্টে কোন টাকা আসেনি! পরে এ বিষয় নিয়ে সে দোকানদারের সাথে ঝামেলা শুরু করে পরে দেখা যায় ৫৮ টাকায় এসেছে এমবি। ৫৮ টাকা রিচার্জ করলে ২ জিবি ইনটারনেট দেয় এখন এই রাজমিস্ত্রি মিলন সে তো ফিচার ফোন চালায় অথবা সে ইন্টারনেট চালানোর মতো তার মোবাইলও নেই। সে ইন্টারনেট ব্যবহারের মতো শিক্ষিত নয়, তাহলে এখন এই ব্যক্তি এই ৫৮ টাকার এমবি কি করবে? কেন মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন অফারের ফাঁদে এই গ্রাহকদের টাকা শোষণ করছে?- প্রশ্ন রাখেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি।