শুরু হয়েছিলো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ভোলার চর কুকরিমুকরি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি) স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশজুড়ে ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। সেন্টারটির বর্তমান নাম ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি)। সময়ের পরিক্রমায় ইউনিয়ন ছাড়িয়ে উপজেলাসহ সব স্থানেই স্থাপন হয়েছে এই ডিজিটাল সেন্টার।
তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় সহজে ও কম খরচে দেড়শতাধিক সেবা পৌঁছে দেয়ার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে দেশের সকল পৌরসভায় ‘পৌর ডিজিটাল সেন্টার ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’ স্থাপন করা হয়। এ সকল সেন্টারে এক জন পুরুষ ও এক জন নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন।
সারাদেশে ১১ হাজারেরও বেশী উদ্যোক্তা বিগত ৮ বছরের এই প্রক্রিয়ায় ৪২ কোটি ৬২ লাখ সেবা প্রদান করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্নে সামিল হয়েছেন। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ১৫০ এর অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখানে সেবাদানকারী ১১ হাজার উদ্যোক্তার মধ্যে অর্ধেকই নারী। তারা সম্মিলিত ভাবে ৪৬ কোটি সেবা দিয়েছেন। উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে আয় করেছেন ৩৯১ কোটি টাকা।
এখন দেশে ৫,৮৬৫টি ডিজটাল সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ইউনিয়ন কাউন্সিলে ৪,৫৭১টি, পৌরসভায় ৩২৮টি, সিটি করপোরেশনে ৪৬৫টি ছাড়াও ৬টি বিশেষায়িত ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে পোশাক শ্রমিক ও মৎসজীবিদের জন্য বিশেষায়িত ডিজিটাল সেবা সেন্টার রয়েছে। দেশের বাইরেও রয়েছে ৬টি স্বতন্ত্র ডিজিটাল সেন্টার।
এর ওপর ভর করেই এখন এগিয়ে চলছে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। এমন প্রাপ্তির মধ্য দিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার নবম বার্ষিকী পালন করেছে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)। এ পর্যায়ে সময়ের প্রয়োজনে ডিজিটাল সেন্টারকে সকলের জন্য একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। সামনে আরও অন্তত ২ হাজার ৮০০টি সরকারি সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যোগ করবে এটুআই। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার সেবা ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে নেয়া হবে।