বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, ইরান-সহ ১৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, বেসরকারি খাতের প্রধান নির্বাহী এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার অংশগ্রহণে ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লীতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে রাইসিনা আলোচনা। দক্ষিণ আফ্রিকা, মলদ্বীপ, ভুটানের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও তিন দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। সম্মেলনে ১২টি দেশের সঙ্গে হবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
প্রথম দিনই সম্মেলনে পিপলস মজলিস মালদ্বীপের স্পিকার এবং মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় মালদ্বীপের পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মিসেস আমিনাথ শাওনা, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানিকেন হুইটফেল্ড এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও মত বিনিময় করেন তিনি।
আলাপকালে অ্যানিকেন হুইটফেল্ডের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২১-এর পরিকল্পনা তুলে ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কে আইসিটি-তে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন পলক।
মালিদ্বীপের স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা বিষয়ে পলক বলেছেন, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের নবম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম জেনে মোহাম্মদ নাশিদ অভীভূত হয়ে প্রশংসা করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বড় ভক্ত হিসেবে তিনি তার প্রশংসা করেছেন এবং আমাকে তার শুভেচ্ছা জানাতে বলেছেন। কিভাবে আইসিটি একটি উন্নত জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত বিনিময় করেছি।
এছাড়াও বৈঠক শেষে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের হাতেই “রাজনীতির মহাকাব্য: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ” বইটি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ভারতের এই ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ওভারসিস রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএস) এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এবারের সম্মেলনের বিষয়- “দ্য নিউ নর্ম্যাল: মাল্টি ল্যাটারালইজম উইথ মাল্টি পোলারিটি”। বিকেলে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’-এর দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্মেলনের শুরুতেই ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম. জে. আকবর, নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রকাশ শরণ মহত, আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈদেশিক উপদেষ্টা গওহর রিজভি অংশ নেন এই আলোচনায়। আলোচনা শুরুর আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটারেসের একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়।