‘মেটাভার্স’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ ফেসবুকের সব সেবা নিয়ে আসা হচ্ছে একটি প্লাটফর্মের অধীনে। ব্র্যান্ড পুনর্গঠনের আওতায় বদলে যাচ্ছে ফেসবুক এর নাম। এই খবর ফাঁস হওয়ার পর ফেসবুক ইনকরপোরেশনের বদলে এই মাতৃপ্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া না দিলেও নতুন নাম নিয়ে সরব প্রতিদ্বন্দ্বী প্লাটফর্ম টুইটার ও টেক মিডিয়াগুলো। এরই মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল এর নাম ঘোষণার পর ফেসবুক এর নতুন নাম বিষয়ে জানা যাচ্ছে বেশ কিছু তথ্য।
এ বিষয়ে তথ্যফাঁসকারী টেক-পোর্টাল দ্য ভার্জ এর প্রতিবেদনে সম্ভাব্য নাম ‘হরাইজন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বেশ আগে থেকেই এ নামে একটি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছে ফেসবুক। মেটাভার্সের ধারণার সঙ্গেও যা মিলে যায়।
তবে ‘মেটা’ নামটাও শোনা যাচ্ছে। ফেসবুকের সাবেক কর্মকর্তা সামিদ চক্রবর্তীসহ অনেকে এ নাম প্রস্তাব করেছেন। তা ছাড়া মেটা ডটকমে ঢুকলে সেটি মেটা ডট অর্গ ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে বায়োমেডিকেল গবেষণা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট সেটি। দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী প্রসিলা চ্যান।
গুগলের সব সেবা যেমন ‘অ্যালফাবেট’ এর অধীনে আনা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ফেসবুকের সব সেবা মিলবে এই মোটা’য়।
মেটাভার্সে ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবা পাওয়া যাবে ভার্চ্যুয়াল জগতে, যে জগতে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হয়ে বাস্তব দুনিয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারবেন, একসঙ্গে কিছু কিছু কাজও হয়তো করতে পারবেন। ভার্চ্যুয়াল আর বাস্তব জগতের বিভেদ কমে যাবে বলা হচ্ছে, যা অগমেন্টেড এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হবে।