ফুড ফর ন্যাশনের “ডিজিটাল কোরবানির হাট”-এ সর্বাধিক পশু আপলোড করে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোক্তার কাছে পৌঁছানো উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দিয়েছে আইসিটি বিভাগ। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সেরা উদ্যোক্তাসহ মোট ১০ জনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল এই হাটের প্রসারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকায় খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ মহারাজপুরের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে অনুপ কুমার অধিকারীকে সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের পুরস্কারসহ ক্রেস্ট তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব পার্থপ্রতিম দেব, ডিজিটাল হাটের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কমিউনিকেশনস্ বিষয়ক পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাস এবং শারমিন আকতার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এটুআই-এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি।
অনুষ্ঠানে খুলনার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মো. আল-হেলাল,চিথলিয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মোঃ মমিনুল হক রাজু, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের মো: আবু রায়হান মন্ডল,যশোরের শ্রীধরপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মোঃ নাহিদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, তাড়াইল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার মোঃ সোহাগ,মোস্তফাপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সাফায়েত হোসেন, নিকলী দামপাড়ার মুহাম্মদ আতাউর রহমান এবং চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মোঃ তাহের খানের হাতে পুরস্কারের চেকসহ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে মোট ৫২৯৩ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। করোনার লক ডাউনে “ফুড ফর নেশন” প্লাটফর্মের ডিজিটাল হাটে গরু, মহিষ, ছাগল মিরিয়ে ৬৩০০ পশু হাজির করেন প্রায় ১৩ হাজার বিক্রেতা, পাইকার, উদ্যোক্তা। আর এই হাটে অনলাইনে ভিজিটরের সংখ্যা ছিল ৫,৫২,৮৩৭।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, প্যানডেমিকের সময় সকলের মধ্যে অনেক ভয়-ভীতি ছিল এবং সে সময় অনেকটা যুদ্ধের মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঠিক সেই সময়ে তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর দুরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি এর সঠিক নির্দেশনায় এই চ্যালেঞ্জকে সফলভাবে মোকাবেলা করার চেষ্টা চলমান রাখে আইসিটি বিভাগ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব পার্থপ্রতিম দেব বলেন, প্রথমবারের মত এ ধরনের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করলেও ফলাফল হিসেবে এই করোনাকালীন সময়ে সকলের কাছ থেকে সহোযোগিতার পাশাপাশি জনগনের থেকেও ভালো সারা পাওয়া গিয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে। ই-কমার্স অর্থাৎ অনলাইনে বিজনেস প্রোমোশনের ক্ষেত্রেও এটি যথেষ্ট কাজ করেছে। পরে তিনি এই উদ্যোগের সাথে সংশ্লিস্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান এবং তিনি এই আয়োজনের সাথে যারা পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত হয়েছেন তাদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, করোনার সময়ে ভোক্তা এবং উৎপাদনকারির মধ্যে যোগাযোগের যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছিল সেটা দূর করতে “ফুড ফর ন্যাশন” যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। খুব শীঘ্রই “ফুড ফর ন্যাশন” এর জন্য অ্যাপস্ তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং সকলে ব্যবহার করতে পারবে।