পরবর্তী পাঁচ বছরের পর ডিজিটাল সামাজিক পরিবেশ আমাদের কাছে একেবারেই ভিন্ন মনে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
এক ব্লগপোস্টে জাকারবার্গ লেখেন,কেউ একজন কোথায় অবস্থান করছে সেটি কোনও বিষয় নয়। আমরা চাইলেই একসঙ্গে থাকার মতো অনুভূতি পাবো। প্রযুক্তি আমাদের জন্য সেই সুবিধা নিয়ে আসছে। এরই মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনেক রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক উদ্ভাবনে সাহায্য করবে। ফলে আমাদের প্রত্যাশিত আয়ু বাড়কে আরও প্রায় আড়াই বছর।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভবিষ্যতে কেমন হবে সেটি নিয়ে আমি খুবই উত্তেজিত। প্রতি বছর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার চেয়ে ২০৩০ সালে বিশ্ব ও আমার অবস্থা কেমন হবে সেটি নিয়ে ভাবছি আমি।
ওই পোস্টে জাকারবার্গ তার ছেলে বেলার কিছু ঘটনাও তুলে ধরেন। সেখানে তিনি লেখেন, “যখন আমি ছোট্ট শহরে একটি বেড়ে উঠি, সেটা ছিলো অপরিসর একটি স্থান। সেখানে সকলের উদ্দেশ্য বোঝা সহজ ছিল। তবে কোটি কোটি লোকের সাথে আপনার বাস; তখন অনন্য ভূমিকা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন। পরবর্তী দশকে আমাদের সেই ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অবকাঠামো সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে আমরা আবার সমস্ত ধরণের ছোট ছোট সম্প্রদায়গুলিকে পুনর্গঠন করতে পারবো।”
“আমাদের ডিজিটাল সামাজিক পরিবেশগুলি পরের পাঁচ বা ততোধিক বছরগুলিতে খুব আলাদা অনুভূত হবে, ব্যক্তিগত মিথস্ক্রিয়াকে পুনরায় জোর দিয়ে এবং আমাদের জীবনে আমাদের আরও ছোট ছোট সম্প্রদায়গুলি তৈরি করতে সহায়তা করবে।”
এক প্রতিবেদনে এসব কথা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, কঠিন একটি বছর পার করার পর বার্ষিক চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে দীর্ঘকালীন চ্যালেঞ্জের প্রতিই দৃষ্টি দিচ্ছেন এই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার।