দেশের ই-কমার্স খাতে চলছে নির্বাচনী আমেজ। ২০২০-২২ মেয়াদের ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ৯ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
নির্বাচনে ৪২১ জন ভোটারদের রায় নিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা হলেন- কমজগত টেকনোলোজিস এর মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, অর্পন কমিউনিকেশন লিমিটেডের মোহাম্মাদ আব্দুল হক, নেক্সট স্টেপ ইন্টারঅ্যাক্টিভের রেজওয়ানুল হক জামি, রেভারেই করপোরেশনের নাসিমা আক্তার, ডিজিটাল হাব সল্যুউশনের সাইদুর রহমান, সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের আশীষ চক্রবর্তী, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশনের শমী কায়সার, জেটাবাইট গেজেটের ওমর শরীফ ইবনে হাই, হাউজ ডি আর্চের মোঃ সাহাব উদ্দীন, চালডাল’র জিয়া আশরাফ এবং ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ।
প্রার্থীদের তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যমান কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে তানভির এ মাসুক এবং রাজীব আহমেদ এবারের নির্বাচনে অংশ নেননি। অন্যদিকে জিয়া আশরাফ, আসিফ আহনাফ এবং ওমর শরীফ ইবনে হাই নতুন করে এবারের নির্বাচরে প্রার্থী হয়েছেন।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, ছোট সংগঠন হিসেবে সকল প্রার্থীদের মধ্যেই ভ্রতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় শেষ পর্যন্ত পুরোনো থেকে একজন এবং নতুনদের থেকে আরো একজন ২৫ নভেম্বরের আগেই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভোট ব্যালট পর্যন্ত নাও গড়াতে পারে।
এবারের ই-ক্যাব নির্বাচনে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান। তার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনায় রয়েছেন টেলিকম ব্যক্তিত্ব টিআইএম নূরুল কবীর এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এএইচ এম বজলুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। গত ২ নভেম্বর প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১০ মে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তফসিল অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর প্রার্থীতা বাছাই করা হয়।