সোমবার আইএসপিএবি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিতে টস জিতে প্রতিপক্ষ ব্রাকনেট-কে বলিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কার্নিভাল। ইনজুরির কারণে ম্যাচে খেলেনি সৌমিক ও আসিফ। তবে শুরুতেই চরম বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। সেই ধকল কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকতে পারেনি তারা।
সেমির অপর ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা কিংস দলনেতা ফরহাদ। সাজ্জাদের দল ডিজি জাদুর বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৫৫ রানে অলআউট হয় ঢাকা কিং। তারেক-রুবেল উদ্বোধনী জুটি ৫ম ওভারে দলকে অর্ধশতক উপহার দেয়। তবে দলীয় ৬২ রানে ১৯ বলে ৩৭ রান করা তারেককে থামিয়ে দেন বোলার লিমন। স্লো-বলে সজোরে হাকিয়ে উইকেটে পৌঁছতে কুপোকাত হন অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রুবেল। তাদের সময়ে প্রযুক্তির হিসেবে দলের সংগ্রহ ১৬৫ হওয়ার কথা থাকলেও টেইল এন্ডারদের শক্তিতে তা কুলোয়নি। রিফাতের ব্যাক টু ব্যাক উইকেটে ইনিংসে শেষ পর্যন্ত স্লথ হয়ে যায় রানের গতি। শেষতেক ম্যাচ ফাইনালের প্রথম বলে উড়িয়ে মেরে ছক্কা হাকাতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন সাকিব ভূঁইয়া।
ইনিংস ব্রেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। তাই বিলম্ব হচ্ছে দিবা-রাত্রির খেলা।
এর আগে রাজধানীর শ্যামলি ক্লাব মাঠে ব্যাট হাতে প্রথম বলেই এলবি ডব্লিউ ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন কার্নিভাল ইন্টারনেট দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে ক্লিন বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন দ্বিতীয় জুটির ব্যটসম্যান শাওন। এক রানেই দুই উইকেট খোয়ানো কার্নিভালকে টেনে তুলতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান মানিক। ৩৫ বল খেলে অর্ধশতক করে ১২তম ওভারের শেষ বলে দলের শতক এনে দেন তিনি। ১৫ ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে ১২৮ রান আসে কার্নিভালের ঝুলিতে। তবে ১৬তম ওভারের প্রথম ওভারে পতন ঘটে ষষ্ঠ উইকেটের। শেষ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ব্র্যাক নেটের সামেন ১৩৩ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় কার্নিভাল। ৪৩ বলে ব্যক্তিগত ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তবারক হোসেন মানিক।
জবাবে প্রথম ওভারের প্রথম সীমান্ত’র বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন সাইফুল ইসলাম। শামীমের বলে প্রথম ওভারে দলের জন্য ১৯ রান সংগ্রহ করে সাইফুল-রতন জুটি। ওয়াইডের মহড়া শেষে তৃতীয় ওভারে সীমান্তের বলে দলীয় ৪৭ রানে উইকেট কিপার রাজীবের তালুবন্দী হন ৭ বলে ১৫ রান সংগ্রাহক সাইফুল। মানিকের বলে এক রান যোগ করতেই পতন ঘটে আরো একটি উইকেটের। তবে ১০ বলে ২৩ রান করে রাজিবের হাতে বন্দি হন রতন। এরপর ক্রিজে থিতু হয়ে ৯ম ওভারেই ১৮ বলে ৩৬ রান করে দলকে শতকের মাইলফলক স্পর্শে অবদান রাখেন তাপস। তবে ভুল শট খেলে অর্ধশতক পূরণ করতে গিয়ে ২২ বলে ৪৯ রানেই সীমান্তের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ছিটকে পড়েন ম্যাচ থেকে। সেসময় ব্রাক নেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২১। ২৮ বলে ২৪ রান করে জাহিদের সঙ্গে জুটি গড়ে ১৩ ওভারের তৃতীয় বলে বিপ্লব সাহার ছক্কায় চার উইকেটে জয়ী হয় ব্রাক নেট।
ম্যাচ শেষে ব্র্যাক নেট অলরাউন্ডার তাপসের হাসে ক্রেস্ট তুলে দেনে আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুর করিম ভূঁইঞা। তাপস ২.৪ ওভার বল করে ২ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪৯ রান করেন।