ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষই পাড়ি জমান নীড়ে। কিন্তু অফিস-আদালত বন্ধ। নগরী হয়ে পড়ে ফাঁকা। তালাবদ্ধ বাসা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে আগুনের ভয়। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট আর প্রযুক্তি সেবাকে কাজে লাগালে মিলতে পারে স্বস্তি।
বাসাবাড়ির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ বিষয়ে সচেতন হতে পারেন কয়েকটি পদক্ষেপের বিষয়ে। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে ঘন-ঘন আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে, তাই ইলেক্ট্রিক লাইন, সুইচ এবং গ্যাসের সংযোগগুলো ভালোভাবে পরখ করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদেরা। আবাসিক স্থাপনায় ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম থাকলে চেক করে নিত তাগিদ দিয়েছেন।
ঈদের ছুটিতে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ে। তাই ডেবিট- ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার, অনলাইন ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সাইবার সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন বোদ্ধারা। গুরুত্বারোপ করেছেন অনলাইন সংযুক্তির। ইউপিএস ও আইপিএস ব্যবহার না করে অনলাইন ইউপিএস ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
এছাড়াও ঈদের ছুটিতে অতীতে সার্ভার অ্যটাকের ঘটনাও কম নয়। তাই সাইবার হামলার সবগুলো দরজায় সতর্ক পাহাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। তাদের পরার্শ প্রতিষ্ঠান অথবা বাসার মেইন পাওয়ার সিস্টেম বন্ধ করলে ডিভিআর বা এনভিআরসহ ক্যামেরা বন্ধ হচ্ছে কি না দেখতে হবে। ডিভিআর ও এনভিআরে রেকর্ডিং চালু না হলে ডিভিআর রিসেট অথবা হার্ডডিস্ক ফরম্যাট দিতে হতে পারে। রেকর্ডিং চালু থাকলে তারিখ ও সময় সঠিক রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও দেখতে হবে। আর এসএমএস, ফিশিং লিংক এড়িয়ে চললে নিরাপদ থাকা সহজ হবে বলে মনেক করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরদ পরামর্শ অনুযায়ী, অনলাইনে মনিটরিংয়ের জন্য ওয়াই-ফাই এবং নেট লাইন সচল রয়েছে কি না দেখতে হবে। ইলেকট্রিক পাওয়ার সংযোগ অথবা ক্যামেরার সংযোগ লুজ কানেকশন রয়েছে কি না দেখতে হবে। প্রতিষ্ঠানে যদি থাকে টাইম অ্যাটেনডেন্স অথবা এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম, তাহলে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে ঈদের ছুটিতে। সর্বোপরী এসির মেইন পাওয়ার সুইচ, গ্যাসের চুলার সংযোগ বা সিলিন্ডারের সংযোগ, অপ্রয়োজনীয় বা অব্যবহৃত সব ধরনের প্লাগ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াও ওয়াইফাই সংযোগ বন্ধ করে নিরাপত্তা ডিভাইসকে ক্যাবলে সংযুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।