২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়িত হলে গ্রাহক পর্যায়ে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মূল্য পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। বর্তমান ২০-২৫ টাকা মূল্যের প্রতিটি ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ডের দাম পড়বে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। একইভাবে চিপ বেসড কার্ডের আমদানি খরচ ১০০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭০ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে এবং কন্টাক্টলেস ক্রেডিট কার্ডের খরচ তিন গুণ বেড়ে ৫৫০ টাকায় গিয়ে পৌঁছাবে।
প্রস্তাবিত বাজে কার্ডের জন্য আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন করে পাঁচ থেকে ছয় গুণ শুল্ক আরোপ করায় নতুন ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড ইস্যু করা ব্যয়বহুল হবে। ভুলুণ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার নীতি।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে, ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড তৈরির আমদানীকৃত পণ্যগুলোর (তিন ধরনের কার্ড) ওপর নতুন করে ট্যারিফ প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবনায় ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড আমদানি প্রতি ০.৭০ ইউএস ডলার, চিপ ও পিন কার্ড দুই ডলার এবং কন্টাক্টলেস কার্ড তিন ডলার ট্যারিফ ধার্য করা হয়।
আগে আমদানি করা কার্ডের ওপর কোনো ঘোষিত ট্যারিফ রেট না থাকলেও কাস্টমস বিভাগকে সাধারণত এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫২ সেন্ট ট্যারিফ দিতে হতো।
সূত্রমতে, স্থানীয় কম্পানিগুলো প্রতিবছর প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ কার্ড আমদানী করে। আর কোনো কম্পানি যদি স্থানীয়ভাবে কার্ড তৈরি করতে চায় তবে তাকে প্রতিবছর এক লাখ ইউএস ডলারেরও বেশি ভিসা, মাস্টারকার্ড, নেক্সাসের মতো কার্ড ইস্যুকারী সংস্থাকে রয়ালটি এবং অডিট ফি দিতে হবে।