কোথায় বেড়াতে যাওয়ার পর খেয়াল করলেন আপনার স্মার্টফোন বা অন্য কোন ডিভাইসের ব্যাটারীর চার্জ শেষের দিকে, তাহলে এটা খুবই হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর। যদি আপনার সাথেই যদি এই ঘটনা ঘটে – তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা।
এই ক্ষেত্রে পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক সাথে থাকলে, আর কোনই চিন্তা নাই। তাই স্মার্টফোনের পাশাপাশি পাওয়ার ব্যাঙ্ক এখন সকলের কাছে অত্যন্ত জরুরি ৷ পাওয়ার ব্যাঙ্কের সাহায্যে যে কোনও সময় চার্জ দিয়ে নিতে পারবেন আপনার ফোন ৷
পাওয়ার ব্যাঙ্কের চাহিদা এখন বাজারে তুঙ্গে ৷ কিন্তু পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনতে গিয়ে নকলের থেকে সাবধান ৷ তাই কেনার আগে এই কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখুন ৷
১. পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাপাসিটি এবং আপনি কতটুকু ব্যবহার করেন
পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাপাসিটি মাপার একক হল মিলি এ্যাম্পিয়ার বা mAH (এমএএইচ)। পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনতে গিয়ে খেয়াল রাখবেন মোবাইল ফোনের ব্যাটারির থেকে পাওয়ার ব্যাঙ্কের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি যেন ন্যূনপক্ষে দ্বিগুণ হয়৷
আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারীর ক্যাপাসিটি যদি ৩১৫০ এমএএইচ হয়, তবে ন্যূনপক্ষে ১০,০০০ এইমএএইচ ক্যাপাসিটির পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে। এটি দিয়ে অন্তত: ৩ বার আপনার ফোন ১০০% চার্জ দেয়া যাবে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, পাওয়ার ব্যাংকের কারেন্ট রেটিং ও আপনার ফোনের কারেন্ট রেটিং যাতে একই হয়।
২. USB চার্জিং কানেক্টিভিটি
পাওয়ার ব্যাঙ্কে USB চার্জিং কানেক্টিভিটি রয়েছে কিনা দেখে নিন। ভাল মানের পাওয়ার ব্যাংকের সাথে বিল্ট-ইন USB পোর্ট থাকে। পাওয়ার ব্যাংকে একবার পরিপূর্ণ চার্জ দিয়ে আপনি যাতে USB ক্যাবলের মাধ্যমে আপনার ফোন বা অন্য কোন ডিভাইস চার্জ দিতে পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
৩. LED ইন্ডিকেটর
এলইডি ইন্ডিকেটর লাইটের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যাঙ্কের ব্যাটারির লেবেল বোঝা যাবে ৷ সাধারণত: ২টি এলইডি থাকবে, একটি পাওয়ার ব্যাংক চার্জের সময় লাল রঙে দেখায়, অন্য এলইডি লাইটটি আপনার ডিভাইস চার্জের সময় হলুদ বা কমলা রঙে দেখাবে যা চার্জ শেষে সবুজ রঙ ধারণ করে।
কিনবার সময় দেখে নিন ব্যাংকের এলইডিগুলো ঠিক মত আলোক সংকেত দেখাচ্ছে কি না।
৪. ব্যাটারীর ধরণ
সাধারণত: লিথিয়ম-পলিমার ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাঙ্কই সব থেকে বেশী দিন কার্যক্ষম থাকে ও নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস প্রদান করে।