৫জি প্রযুক্তি চীনের বেকারত্বে হার কমিয়ে জাতীয় অর্থনীতেকে আরও শক্তিশালী করবে। ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সেখানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে এই প্রযুক্তিতে।
দেশজুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের সবুজ সংকেত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মিয়াও ওয়েই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হুওয়াওয়ে’র ব্যবসায়িক টানাপোড়েনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে চীনের যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-র শেষের দিকে দেশটির ৪টি টেলিকম সংস্থাকে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবার (৬মে) দেশটির চারটি ষ্ট্রায়াত্ব টেলিকম সংস্থাকে ৫জি নেটওয়ার্ক চালুর পাকাপাকি লাইসেন্স দেয় চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সেসময় চীনে শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মিয়াও ওয়েই জানিয়েছিলেন, এই নতুন প্রযুক্তি দ্রুত গতিসম্পন্ন, মোবাইলের জন্য নিরাপদ। নতুন শিল্পের পরিকাঠামো গড়তে এটি সাহায্য করবে।
বস্তুত, চলতি বছর মার্চ মাসে চিনের সাংহাইয়ের হংকউ জেলায় প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। সেই কাজে সাফল্য আসায় ব্যবসায়িকভাবে ৫জি চালু করতে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চীনা সরকার।
এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে চীনের তিব্বতসহ বিভিন্ন বড় শহরে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ৫জি যোগাযোগ ব্যবস্থার গতিবেগ বর্তমান ৪জি-র তুলনায় দশ থেকে একশো গুণ বেশি দ্রুত হবে।
অন্যদিকে চীনা সংস্থা হুওয়াওয়ে’র সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হুওয়াওয়ে-র প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের উপর নজরদারি চালাতে চাইছে চীনা সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই দেশে হুওয়াওয়ের’র ৫জি যন্ত্রপাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলীয়া এবং নিউজিল্যান্ড সরকার।