অবিলম্বে দেশে একটি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট ও স্ট্যান্ডারাইজেশন নীতি প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিত করতে হলে স্ট্যান্ডারাইজেশন জরুরী। প্রতিবছর দেশে একটি আইটি অডিট করা প্রয়োজন।
পলক বলেন, অটোমান অ্যাপ্রোচ থেকে দূরে গিয়ে গ্রাম থেকে উন্নয়নের ধারা শুরু করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেছ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে শহর-গ্রামের বৈষম্য ঘুচেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে কমেছে ধনী দারিদ্রের ফারাক।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেকচার সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অন্তর্ভূক্তি মূলক সমাজ গঠনে বহুদূর এগিয়ে গেছে। শহর-গ্রাম এবং ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে দূরত্ব কমেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির এমন ব্যবহারকে আজ সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৩টি দেশের মধ্যে ২৪টির মধ্যে ৯টি পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
পলক বলেন, দেশে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে বিটিআরসি এবং সংশ্লিষ্টকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর মেধা ভিত্তিক অর্থনীতিতে যেতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের ৪টি পিলারের প্রত্যেক জায়গায় গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টারনেট এখন সহজ প্রাপ্য ও সহজলভ্য হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের ইতিবাচক ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বক্তব্যে হুয়াওয়েকে বাংলাদেশে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি।
‘ব্রিজিং দি স্টান্ডার্ডাইজেশন গ্যাপ’ প্রতিপাদ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম।