মোবাইল আর ল্যাপটপের কারণে ডেস্কটপ ব্যবহার কিছুটা কমলেও তেলাপোকার মতোই টিকে আছে ডেস্কটপ। আর এর ব্যবহারও হয় বড় বড় কাজেই। শুধু তাই নয়; গেম খেলতেও সবচেয়ে বেশি চাপ নেয় এই ডেস্কটপ পিসিই। উইন্ডোজ নির্ভর এই ডিভাইসকে নিরাপদ রাখার সহজ কিছু পথ বাতলে দিয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। আসুন এবার সেগুলোই জেনে নেই।
ফায়ারওয়াল অন রাখুন
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এখন ফায়ারওয়াল সহই আসে এবং ওই ফায়ারওয়াল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চালু থাকে। চাইলে আলাদা করে তৃতীয় পক্ষীয় ফায়ারওয়ালও ব্যবহার করতে পারেন।
আপ টু ডেট রাখুন সফ্টওয়্যারগুলো
আপ টু ডেট রাখুন উইন্ডোজ। স্বয়ংক্রিয় আপডেট চালু রাখুন মাইক্রোসফট অফিস এবং অন্যান্য মাইক্রোসফট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য। অন্যান্য নির্মাতার সফ্টওয়্যার, বিশেষ করে ব্রাউজার, অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডার এবং আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন অন্যান্য অ্যাপগুলির জন্যও স্বয়ংক্রিয় আপডেট চালু করুন।
ব্যবহার করুন অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার
সর্বশেষ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে জন্য ইতোমধ্যেই উইন্ডোজ সিকিউরিটি ফিচার বা উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সিকিউরিটি সেন্টার ইনস্টল রয়েছে। চালু করে আপ টু ডেট রাখুন এগুলোও।
নিশ্চিত করুন পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা
পাসওয়ার্ড বাছাই করুন কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রেখে। প্রথমত, যেন অন্য কারো পক্ষে আপনার পাসওয়ার্ড অনুমান করা সম্ভবনা হয় সেটি খেয়াল রাখুন। এ ছাড়াও পাসওয়ার্ডে স্মল লেটার, ক্যাপিটাল লেটার এবং সংখ্যার ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
পাইরেটেড অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে সতর্ক থাকুন
পাইরেটেড চলচ্চিত্র, গান, বই বা অ্যাপ্লিকেশন স্ট্রিমিং বা ডাউনলোড করা এড়িয়ে চলুন। এগুলিতে ম্যালওয়্যার থাকার আশঙ্কা বেশি।
নিরাপদ ওয়েবসাইট
সম্ভাব্য অবৈধ সামগ্রীর লোভ দেখায় এমন সাইটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর মধ্যে অনেকগুলি ব্রাউজ করা অবস্থাতেই ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে আপনার পিসিতে বা ম্যালওয়্যার আছে এমন ফাইল ডাউনলোড করতে বলে। এমন ব্রাউজার ব্যবহার করুন, যা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইটকে ব্লক করতে এবং আপনার কম্পিউটারে ক্ষতিকারক কোড চালনায় বাধা দেয়।
ইউএসবি পোর্ট ব্যবহারে সচেত থাকুন
অন্য কারো ইউএসবি বা অন্যান্য ‘এক্সটার্নাল ডিভাইস’ আপনার পিসিতে কানেক্ট করবেন না। মালিকের অজান্তেই এসব ডিভাইসে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থাকতে পারে।
অ্যাটাচমেন্ট খুলতে সতর্ক থাকুন
ইমেইল বা কোনো মেসেজ সেবায় পাওয়া সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না। মেসেজ বা ইমেইলে আসা অস্বাভাবিক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। ইমেইল বা মেসেঞ্জার কেবল নয়, কোনো টুইট, সামাজিক মাধ্যম পোস্ট, অনলাইন বিজ্ঞাপন বা পরিচিত এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে আসা বার্তায়ও আসতে পারে ক্ষতিকর লিঙ্ক।