কথা ছিলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া প্যাসেফিক নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের ৫৭তম সম্মেলন। ওই সময় দেশজুড়েই জাতীয় নির্বাচনী আবহ থাকায় ভেন্যুটি এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এবারের সম্মেলন হবে ব্যাংককে। বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও ২০২৫ সালে ফের ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়টি অনেকটাই গুছিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জাতীয় সংগঠন আইএসপিএবি।
সংগঠনটির আয়োজনে আগামী মে-তে করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীদের এই নলেজ শেয়ারিং সম্মেলন সেনগ। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের (সেনগ) ২২তম সম্মেলনে এপনিক চেয়ারম্যান গৌরব রাজ উপাধ্যায় থাকবেন। এছাড়াও এশিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে ইন্টারনেট নম্বরের বিস্তৃতি ও নিবন্ধন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট শতাধিক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও অংশীজন যোগ দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
ভেন্যুর বিষয় প্রকাশ না করে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক। তিনি বললেন, গত আড়াই-বছর আমরা সেনগ প্রোগ্রাম করতে পারিনি। কোভিডের আগে শেষ আমরা এই প্রোগ্রাম করেছিলাম। ফলে এবারের সম্মেলনটাতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আগামী ৯-১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে সেনগ।
এপিনিক কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির জানিয়েছেন, এবারে স্যানোগ সম্মেলন আয়োজনে যথারীতি আইএসপিএবি’র সঙ্গে থাকছে বিডিনগও। সম্মেলনে ৪ দিন ব্যাপী ৩টি কর্মশালা ও ১ দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালা পরিচালনা করবেন দেশীয় ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা। সম্মেলন ও কর্মশালার আলচ্য বিষয় সমূহ নির্বাচন করা হবে খুব সহসাই এবং তা সবাইকে জানিয়ে দে্ওয়া হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিবছর মে ও অক্টবর মাসে নিয়মিত স্যানগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সার্কভূক্ত দেশ গুলোর বিভিন্ন শহরে। তিনি মনে করেন, স্যানগ এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও নেটওয়ার্ক সুরক্ষার প্রকৌশল বিষয়ে যেমনে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা; একইসঙ্গে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাদের সখ্যতাও গড়ে উঠবে সহজে।
একই কথা বললেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক। এজন্য পৃষ্ঠপোষকদের সতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেও আশাবাদ ব্যক্ত করলেন তিনি। জানালেন আগামী বছর বাংলাদেশেই এপ্রিকট সম্মেলন করার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টিও।
সেনগ ছাড়াও নিয়মিত আরো দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ। এর একটি এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপিনিক)। অন্যটি এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারনেট কনফারেন্স অন অপারেশনাল টেকনোলজি (অ্যাপ্রিকট)। ২০১৭ সালে এপিনিকি সম্মেলন বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও হলিআর্টিজেন দুর্ঘটনায় তা সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো শ্রীলঙ্কায়। আর অতিমারি কোভিডে ২০২০ সালে সরাসরি না হলেও ভার্চুয়ালি এপিনিকের ৫০তম আসরের স্বাগতিক ছিলো বাংলাদেশ।