ব্যক্তির ডেটা সুরক্ষায় ডেটার আদান-প্রদান ও প্রক্রিয়াকরণে ইউরোপিয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর আইনি কাঠামো জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)। এই আইনের অধীনেই গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের মতো টেকজায়ান্টরা ব্যক্তির ডেটার সুরক্ষায় যেমন সতর্ক হয়েছে; একইভাবে ক্ষতিপূরণের মুখোমুখি হচ্ছে। দীর্ঘ চার বছর পর বিশ্বে বহুল আলোচিত এই জিডিপিআর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন ডেটা প্রাইভেসি আইন প্রণয়ণের পর বিভিন্ন প্যারামিটারে মাণদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০২৩ সালের জন্য ডেটা প্রটেকশন অথরিটি সনদ দেয়া হয়েছে আইসিটি বিভাগের অধীন বিজিডি ই-গভঃ সার্ট-কে। বছরের প্রথম দিন অনুমোদন পাওয়ার পর বুধবার (৪ জানুয়ারি) এই সনদ হাতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিএ অপারেশন ও নিরাপত্তা বিভাগ এবং ডেটাসেন্টারের পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই সনদ পাওয়ার পর আমরা জিডিপিআর এর অডিটর হিসেবে কাজ করার স্বীকৃতি পেলাম। আমরা এখন জিডিপিআর এর সদস্য হিসেবে ডেটাসুরক্ষায় ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের রুলস, পলিসি ও কন্ট্রোল বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবো।
সূত্রমতে, নতুন ডিপিএ, ডেটাসেন্টার, কন্ট্রোল, সিকিউরিটিতে ক্রমেই বৈশ্বিক পর্যায়ে ভালো অবস্থানে যাওয়া এবং সর্বোপরি সংস্থাটিতে জিডিপিআর স্বীকৃত ডেটাপ্রোটেকশন অফিসার (ডিপিও) থাকায় বিজিডি ই-গভঃ সার্টকে এই ইউরোপিয় ইউনিয়নে ২০১৭ সালের ডাটা প্রটেকশন আইনের ৩৯ ধারা অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল সময়ের জন্য জিডিপিআর নিবন্ধন সনদ দেয়া হয়েছে। এই সনদের ফলে বাংলাদেশে অবস্থানরত বা এই দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানির ডিজিটাল সিকিউরিটি অডিট করতে পারবে জাতীয় ডাটা সেন্টার ও সরকারের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি।
জানাগেছে, অডিট কাজের জন্য এরইমধ্যে বিজিডি ই-গভঃসার্টের ১৩ সদস্যের দলের ৬ জনই জিডিপিআর এর সার্টিফায়েড ডিপিও সনদ লাভ করেছেন। এর হলেন তৌহিদুর রহমান , রেজাউল ইসলাম, তামিম আহমেদ, মোঃ মঈনুল হোসেন, আরিফুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান। এদের মধ্যে বিজিডি ই-গভঃ সার্টের চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার তৌহিদুর রহমানের সার্টিফায়েড ডেটা প্রোটেকশন অফিসার ইউএসএ সনদও রয়েছে।
জিডিপিআর নিবন্ধন বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে কম্পিউটার ফরেনসিক (EnCE) সার্টিফায়েড ও সাটিফায়েড ডাটা প্রোটেকশন অফিসার (সিডিপিও) তৌহিদুর রহমান ডিজিবাংলা-কে জানিয়েছেন, জিডিপিআর থাকলেও ইউরোপ আর ইউএসিএ এখন ‘সেফ হারবার’ এ তথ্য আদান প্রদান করে। তাছাড়া ওই অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনাচার, মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক ফলে এখন তারা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ডাটা সুরক্ষার বিদ্যমান এপিএসি- সিবিপিআর বা ক্রসবর্ডার প্রাইভেসি রুলস এর অন্তভূক্ত হবার কাজ করছেন তারা। তখন বিদেশে বাংলাদেশের ডাটার যথেচ্ছা ব্যবহার কিংবা ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পথ বন্ধ করা সহজ হবে।