প্রত্যাহার হতে পারে ভার্চুয়াল বিজনেস বা ই-কমার্সের ওপোর প্রস্তাবিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট। তবে বহাল থাকছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমার্জন শেষে বিকেলে অর্থবিল-২০১৯ চূড়ান্ত হবে। রোববার (৩০ জুন) সংসদে বাজেট পাস হবে বাজেট।
জানাগেছে, ই-কমার্স ব্যাবসায়ীদের জোরালো দাবির মুখে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশেষত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী ও পুঁজিবাজারের কথা চিন্তা করে বাজেটে এ বছরও ই-কমার্স খাতকে করের আওতা মুক্ত রাখা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর দু’জন কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা গেছে, ই-কমার্স-কে ভ্যাটমুক্ত রাখতে নতুন একটি এসআরও কোড করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ বিষেয়ে একটি স্ল্যাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি এখনো নিশ্চিত নন বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরে সরকারের প্রতিটি মহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে ই-কমার্সের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারে সরকারের পরোক্ষ ভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় রাজস্ব রোর্ডকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য চিঠিও দিয়েছেন। এছাড়াও আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে ই-কমার্সের ওপর ভ্যাটের কুফল পৌঁছে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকেও বিষয়টি অবহিত করেছি। সবাই আমাদের ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা বরাবরই দাবি জানিয়ে এসেছি ই-কমার্সকে যেন স্বতন্ত্র একটি কোডে রেখে এই খাতটিকে বিকাশের সুযোগ করে দেয়া হয়।
কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও ই-কমার্সের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে আজ তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।