অনলাইনে জিডি চালুর পাশাপাশি ১২টি কার্যক্রম অনলাইনে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এরমধ্যে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ডিউটি বণ্টন থেকে শুরু করে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডাটাবেজ, বিট পুলিশিং ও টহল দলের গতিবিধির লাইভ তদারকি, অটো সুরতহাল রিপোর্ট মেকার, এমপ্লয়িস ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স উইথ লোকেশন ট্র্যাকিং অ্যান্ড ফটো ম্যাচিং মোবাইল অ্যাপস, ডিজিটাল ডিউটির ফলাফল মূল্যায়ন এবং লাশ শনাক্তে ফটোম্যাচিং এর মতো ডিজিটাল উদ্যোগ।
এছাড়াও যেসব সেবার ডিজিটালাইজেশন হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জিডি তদন্ত সংক্রান্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম এবং জিডি সংক্রান্ত ওবি প্রদান, থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ডিউটি বণ্টন, অনলাইন জিডি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ও অনলাইন জিডি মোবাইল অ্যাপস ফর সিটিজেনস, ছুটি ও সিসি ব্যবস্থাপনা, অ্যাপ ভিত্তিক যোগাযোগ, মামলা বা জিডি সংশ্লিষ্টদের আবাসস্থল চিহ্নিতকরণ ও সকল পুলিশ কর্মকর্তার জন্য একক ফোনবুক।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানসহ ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন অনলাইন সেবাটিকে সিডিএমএস প্লাস নাম দেওয়া হয়েছে। থানা পর্যায়ে এ কার্যক্রম চালুর জন্য প্রতিটি ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে দক্ষ জনবল তৈরি করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র আরো জানিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিটি জেলা বা ইউনিটের এএসআই থেকে অ্যাডিশনাল এসপি পর্যায়ের ৩-৫ জন কর্মকর্তাকে টিওটি বা ট্রেইনার অব ট্রেনিং কোর্স করানো শুরু হয়েছে। তারা ইউনিটের অন্যান্য কার্যালয় ও থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, থানায় ডিজিটাল কার্যক্রমে যারা যুক্ত থাকবেন তাদের ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইউনিট প্রধানদের মাধ্যমে একটি নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে ইউনিট প্রধান তার কার্যালয়ে বসেই সব ডিজিটালি মনিটর করতে পারবেন। এজন্য সকল জেলার পুলিশ সুপার, বিভিন্ন ইউনিট প্রধান ও থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অনলাইনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএসএস)-এর আওতায় দেশের সকল গ্রেফতার হওয়া অপরাধীদের তথ্য ও মামলা সংক্রান্ত বিষয় অনলাইনে সংরক্ষণ করছে বাংলাদেশ পুলেশের সদস্যরা। এতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অপরাধীর আগের যাবতীয় রেকর্ড চেক করতে পারছেন। সর্বশেষ বুধবার হতে দেশজুড়ে অ্যাপস ছাড়াও জিডি ডট পুলিশ ডট গভ ডট বিডি ওয়েবসাইটে গিয়েও জিডি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে আবেদনকারীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হয়। মোবাইলে অটো ম্যাসেজ পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের পর জিডির কারণসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
এর আগে অপরাধ ঠেকাতে ই-পুলিশিং, ট্রাফিক পুলিশে বডি-ক্যামেরা চালুর মতো নানা বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটাল রূপান্তরে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়।