গত ৯ দিনে মোট ১০ লাখ ৯০ হাজার হ্যান্ডসেট ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেমের অধীনে এনেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিবিআরসি। এর মধ্যে নিবন্ধনে বৈধতা পেয়েছে ৭ লাখ ১০ হাজার হ্যান্ডসেট। বাকি ৩ লাখ ৮০ হাজার হ্যান্ডসেট অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
অবৈধ এসব হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমে ইতোমধ্যেই বৈধ কাগজের মাধ্যমে নিবন্ধন করার বার্তা পাঠানো হয়েছে। চলছে ‘টোকেন বন্ধ’ কার্যক্রম। গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে এই টোকেন বন্ধ প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন হাজার খানেক সেট লক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিআরসি কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান।
এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় বিক্রেতারাও এখন গ্রাহককে দেয়া ‘অবৈধ’ ফোন ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েন বিটিআরসি’র এই কমিশনার।
এরপরও যারা সচেতন হবেন না শিগগিরই তারা বিপাকে পড়তে পাড়েন বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
এরা আগে ৩ মাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিলো এনইআই আর বাস্তবায়নের কাজ। এই কার্যক্রম চলার সময়ে যারা সেটে ‘অবৈধ’ বার্তা পাবেন তাদেরকে বিক্রেতার কাছে মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে বৈধ ফোন সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
অবৈধ সনাক্ত ফোনের সংযোগ একের পর এক বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিটিআরসির স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম জানিয়েছেন, অবৈধ মেসেজ যাওয়া ফোন যদি কোনও মোবাইল বিক্রেতা ফেরত না নেন, বদলে না দেন বা টাকা ফেরত না দেন তবে বিটিআরসির কল সেন্টার, ১০০ নম্বরে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন। বিটিআরসি এই বিষয়ে গ্রাহককে আইনগত সহায়তা দিচ্ছে।
এদিকে যেহেতু ৩০শে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত বৈধ-অবৈধ সকল সেটই নিবন্ধিত হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে মালিকানা হস্তান্তর কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া ফোন সনাক্তেও বিশেষ ফিচার রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রারে। সময় হলেই এই ফিচার চালু করবে বিটিআরসি। তবে তার আগেই এছাড়াও গ্রাহক চাইলেই neir.btrc.gov.bd ওয়েব লিংকে গিয়ে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল থেকেও মোবাইল সেটের মালিকানা হস্তান্তরের সুযোগ নেয়া যাচ্ছে। শুধু চুরি বা হারানো ফোনগুলোর ‘বৈধতা’য় আরো অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানাগেছে।