কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে গত ৪৫ দিনে ১০০ কোটি টাকা লোকসানে পড়েছে দেশের মোবাইল ফোন শিল্প। এর ফালে দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমের পাশপাশি আমদানি কার্যক্রম সচল রাখতে নাভিঃশ্বাস ওঠছে খাত সংশ্লিষ্টদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসেছে যে, আগামী দুই মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৩৫ শতাংশ ব্যবসায়ী কার্যক্রম।
এ কারণেই পোশাক শিল্প অথবা রপ্তানি শিল্পখাতের মতো সরকারের কাছে প্রণোদনা প্যাকেজ সহায়তার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তবে এখনো সেই আবেদনে কোনো সাড়া না পাওয়ায় ছোট-বড় প্রতিটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানই মূলধন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে এখন লে-অফ মুডে যাওয়ার কথা ভাবছে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ সূত্রে প্রকাশ, দেশে ৯টা মোবাইল তৈরির কারখানা চালু ছিল। করোনা ভাইরাস সংকটের ফলে লকডাউন সময়ে উৎপাদিত ও আমদানি করা মোবাইল বিক্রিও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে থেমে যায় আয়ের চাকা। বাড়তে থাকে উদ্যোক্তাদের দায়-দেনা। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে যেখান থেকে উত্তোরণ অনেক কঠিন।
এমন পরিস্থিতেত গত এপ্রিলে সংগঠনটি শ্রমিক কর্মীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজ-৫ থেকে অনুরূপ সহযোগিতা, প্যাকেজ-১ থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছে যা উদ্যোক্তারা পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধ এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর ৬ মাসের ইউটিলিটি বিল মওকুফের আবেদন জানিয়েছিলো।