সড়কের পর এবার ঢাকার ভেতরে এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাসগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ঢাকার প্রধান সড়কগুলোর ওপরে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তফসিলের পর নাশকতা ঠেকাতে এই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সূত্রমতে, এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে ১০৮টি বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিপ্ত ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এবার বাসের বাইরেও অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুরকারীদের সনাক্ত করণে সিসি ক্যামেরা লাগাতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়াও বাসে আগুন বন্ধে রাজধানীর প্রতিটি স্টপেজে বাস ও যাত্রীদের ছবি তুলে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে নির্বাচনকে সামনে রেখে হরতাল-অবরোধের মধ্যে বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে যাত্রীরা সুরক্ষিত থাকবে এবং কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দোষীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ডিএমপির সদর দফতরে দিনভর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ঢাকার ৫০ থানার ওসিদের নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দীর্ঘ বৈঠক করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মনিটরিং সেলের মামলাগুলো নিয়ে বৈঠক হয়। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা। তবে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনার পুরো সময়টাতেই বিএনপির চলমান আন্দোলন, অবরোধ ও তফসিলের পর সম্ভাব্য নাশকতা এবং সহিংসতা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে নজরদারিতে ড্রোন টহলের বিষয় উঠে আসে।
জানাগেছে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। এরপর এদিন সন্ধ্যায় তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ওই ভাষণেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের ঘোষণা দিতে পারেন।