মানুষের মতো অবয়ব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতিতে দ্বিতীয় স্বতন্ত্র সভ্যতার প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছে যন্ত্র মানবেরা। এরইমধ্যে সোফিয়া, গ্রেস ও দেসদিমোনা’র কথা জেনেছে বিশ্ব। তিন বোনের মতো তিন রোবট ভাই বিকশিত হচ্ছে বাংলাদেশে। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনির ছেলে ফরিদ হোসেন।
ঢাকা পলিটেকনিকের দুই বন্ধুকে নিয়ে পেশাদার রোবট কারিগরদের কাতারে শামিল হতে চলেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার সায়েন্সের শেষ বর্ষের ছাত্র ও আইডিইবি আইওটি এবং রোবোটিক্স রিসার্চ ল্যাবের উদ্ভাবক ফরিদ। এরইমধ্যে বানিয়েছে ৫টি রোবট। শুরুটা ছিলো ব্র্যাঙগ্রো রোবট দিয়ে। একে শিশু রোবট বলা যেতে পারে। সময় যতই গড়িয়েছে রোবট গুলো যেনো ভিন্ন নামে বড় হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০২০ সালে তার সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা পলিটেকনিকের দুই শিক্ষার্থী রনি হোসাইন ও ইকবাল মাহমুদ। রনি করেন থ্রিডি ডিজাইনের কাজ আর ইকবাল ইলেকট্রিকাল সার্কিটের কাজ।
এভাবে শিশু থেকে সিরিজ রোবট বানিয়ে তারুণ্যে পৌঁছেছে ফরিদেদের ‘রোবা’। আশা করা যায়, ব্যাংরো, টিভেট ও রোবা ভ্রাতৃত্রয়ের পাশাপাশি সুরুচি কিচেন ও ডিক্রো ওয়্যার হাউজ রোবট হয়ে উঠবে বিশ্বের প্রথম পারিবারিক রোবট।