শুরুটা ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম থেকে। ‘একটেল’ নামে। ২০১০ সালে ‘রবি’ নামে শুরু হয় নতুন যাত্রা। এরপর ২০১৬ সালে একীভূত হয় এয়ারটেলের সঙ্গে। তবে সূর্যের শক্তি নিয়ে ‘রবি’ নামেই দিব্যি বহাল থাকে। অপারেটরদের মধ্যে উঠে আসে দ্বিতীয় অবস্থানে। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়াতে থাকে ডিজিটাল সেবার বহর। সেই সেবার ক্লাউড চাহিদা মেটাতে এবার ফোর টায়ার ডেটা সেন্টার চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে অপারেটরটি।
পাশাপাশি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, আর–ভেঞ্চারসের মাধ্যমে দেশীয় স্টার্টআপে আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে আপন শক্তিতে জ্বলে উঠে- জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা দেয়ায় প্রতিশ্রুতিশীল রবি।
নতুন ডিজিটাল উদ্যোগের পরিচর্যা, বাস্তবায়ন ও সহায়তার জন্য ২০১৯ সাল থেকে ‘আর-ভেঞ্চারস’ গড়ে তোলে তারা। রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয় এ তহবিল থেকে সহায়তা পাওয়া জয় বড়ুয়া লাবলুর গল্প। গল্পটা অজানা নয়। হাত নেই অথবা হাত কেটে ফেলতে হয়েছে এমন মানুষদের জন্য স্বল্পমূল্যের ‘রোবটিক হাত’ এখন ছড়াচ্ছে নতুন আশা। এমন উদ্যোগে রবির নেতৃত্ব, সেবার মান—সবকিছুই প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সফল করে তুলবে বলে প্রত্যাশা করছে রবি পরিবার।
রাজধানীর একটি হোটেলে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে রবি’র আগামীর জন্য প্রস্তুতি তুলে ধরেন সদ্য যোগ দেয়া প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি। ‘ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী’ উল্লেখ করে এই ভারতীয় নাগরিক জানালেন ‘৪জি’র নেতৃত্ব নিয়ে’ এগিয়ে যাবেন সামনের দিনগুলো। যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পাবে গ্রাহক।
অনুষ্ঠানে আরো জনানো হয়, রবির গ্রাহক এখন ৫ কোটি ৪৪ লাখ। এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করেছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। পাশাপাশি এক লাখের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
গেলো ২৫ বছরের পথচলায় গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় অর্জনগুলো তুলে ধরেন চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ। জানালেন, রবি’র জাতীয় অ্যাপ স্টোর বিডিঅ্যাপস থেকে ১০ কোটির অধিক টাকা পেয়েছেন ডেভলপাররা।
অনুষ্ঠানে রবি’র তিন শীর্ষ ব্যবহারকারী জয়নুল আবেদীন, ফখরুল ইসলাম এবং মোঃ ফারুকের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।