যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্যিক ক্রিপ্টো মাইনিং কোম্পানি ‘কোর সায়েন্টিফিক’। স্পাক’ নামে পরিচিত এক বিশেষ অধিগ্রহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল প্রতিষ্ঠানটির। গত বছরের জুলাইতে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ মূল্যছিলো চারশ ৩০ কোটি ডলার। এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ৮০ লাখ ডলারে। ফলে গত বছর কোরের শেয়ারমূল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ।
ফলে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর পর এবার ‘চাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা’র আবেদন করছে ‘কোর সায়েন্টিফিক’। সম্পদের তরলীকরণ ছাড়াই বুধবার টেক্সাসে দেউলিয়াত্ব সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি।
গত সপ্তাহে কোর সায়েন্টিফিকের অন্যতম পাওনাদার ‘বি. রাইলি ফিনান্সিয়াল ইনকর্পোরেটেড’, কোম্পানিটির দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে সাত কোটি ২০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো।
খবরে প্রকাশ, দেউলিয়া সুরক্ষার আবেদন করা হলেও জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা নোটধারীদের সঙ্গে চুক্তির বেলায় প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিক নিয়মেই পরিচালিত হবে।
জর্জিয়া, কেনটাকি, নর্থ ক্যারোলাইনা ও নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যে বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম’সহ বিভিন্ন ডিজিটাল সম্পদ মাইনিং করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের অস্টিন শহর ভিত্তিক এই মাইনার কোম্পানি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিপ্টোমুদ্রার দাম কমে যাওয়া ও মাইনিংয়ে শক্তির খরচ বৃদ্ধির কারণে লাভ কমে যাওয়ায় ব্যপক ‘চাপের মধ্যে আছে’ বিটকয়েন মাইনার কোম্পানিগুলো। ক্রিপ্টো বাজারের চরম পরিস্থিতি সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক ও ভয়েজার ডিজিটাল লিমিটেডের মতো অন্যান্য শীর্ষ ক্রিপ্টো ঋণদাতাকেও দেউলিয়া হওয়ার দিকে পরিচালিত করেছে। আর সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা মামলার প্রভাব পড়েছে কোর সায়েন্টিফিকের ওপরও।