নিজেদের তৈরি রোবট অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ডাইনামিক্সসহ রোবট উৎপাদক বেশ কয়েকটি কোম্পানি। প্রতিশ্রুতি দেয়ার এই কাতারে রয়েছে-‘অ্যাজিলিটি রোবটিক্স’, ‘এনিবটিক্স’, ‘ক্লিয়ারপাথ রোবটিক্স’, ‘ওপেন রোবটিক্স’ ও ‘ইউনিট্রি রোবটিক্স’।
এক চিঠিতে কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, “রিমোটের সাহায্যে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত, জনসাধারণের নাগালে বা আগে মানুষ থাকত এবং কাজ করত এমন দুর্গম জায়গায় বিচরণে সক্ষম রোবটে অস্ত্র যোগ করলে তা বিভিন্ন ক্ষতি ও গুরুতর নৈতিক সমস্যার নতুন ঝুঁকি তৈরি করবে। তাই আমাদের ‘অ্যাডভান্সড-মবিলিটি জেনারেল-পার্পাস’ রোবট বা উন্নতমানের রোবটিক্স ব্যবস্থা সক্রিয় করে এমন সফটওয়্যারে আমরা অস্ত্র যোগ করবো না। আর আমরা অন্যদেরও এতে সমর্থন দেব না। যখন সম্ভব হবে, সম্ভাব্য অস্ত্র ব্যবহার এড়াতে আমরা গ্রাহকদের চাওয়া বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাবধানে পর্যালোচনা করব।”
বিভিন্ন দেশ ও সরকারী সংস্থা আত্মরক্ষার্থে ও আইন মেনে প্রচলিত যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, সেটি নিয়েও কোম্পানিগুলোর কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে প্রথম এই খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদ সাইট এক্সিওস।
মূলতঃ ২০২০ সালে একটি নীল রঙয়ের স্পট রোবট ব্যবহার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) । তারা এর নাম বদলে রাখে ‘ডিজিডগ’, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যপক ভাইরাল হয় ও জনগণের মনযোগ আকর্ষণ করে। পরবর্তীতে এই রোবট ফিরিয়ে দেয় ‘এনওয়াইপিডি’।
এ নিয়ে ব্রিটিশ অনলাইন সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জানিয়েছে, বস্টন ডাইনামিক্স বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্যান্য কোম্পানি তাদের পণ্যকে অস্ত্রে পরিণত না করলেও অন্যান্য অনেক কোম্পানি ও সংস্থা এটি করতে পারে।
সম্প্রতি রাশিয়ার অস্ত্র প্রদর্শনীতে পিঠে ‘গ্রেনেড লঞ্চার’ বসানো একটি রোবট কুকুর প্রদর্শিত হয়েছে। পোষা প্রাণীর চেহারায় তৈরি ওই রোবট সম্ভবত চীনে উৎপাদিত বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। এর উৎপাদক ইউনিট্রি রোবটিক্স তাদের ওই রোবটে অস্ত্র যোগ করা বিষয়ে কোনো শর্ত দেয়নি। কেবল উল্লেখ রয়েছে, ‘অননুমোদিত ব্যবহারে’ কোনো ক্ষতির দায়ভার সেলস ওয়ারেন্টিতে থাকবে না।