দেশের ই-কমার্স খাতের অস্থিরতার সময়ে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানোর অংশ হিসেবে দেশের প্রথম সামাজিক ব্যবসায়ীক যোগাযোগ মাধ্যম ”রিং আইডি” নিয়ে ‘চটকদার’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করবার চেষ্টা চালছে। একই শিরোনামে একই তথ্য দিয়ে অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।মনগড়া ব্রান্ড প্রোমোটার সংখ্যা ও প্রদেয় অর্থের গুনিতক ইচ্ছামতো প্রচার করছে যা মোটেও বাস্তব সম্মত নয়।
তবে কোন কোন গণমাধ্যমে এই ‘অপপ্রচার’ হচ্ছে, কিংবা এর বিরুদ্ধে আইনি কোনো প্রতিবিধান নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
তবে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেদন উল্লেখিত অভিযোগকারীর বরাত দিয়ে দাবি করা হয় রিং আইডি তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিপরীতে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়নি। এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে রিং আইডি ও উক্ত অভিযোগকারীর সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় বস্তুত রিং আইডি সেই গ্রাহকের কাছ থেকে কোন সেবা মূল্য বুঝে পায়নি এবং অভিযোগকারী জানায় মূলত পেমেন্ট সেটেলমেন্টকারী প্রতিষ্ঠানের কারিগরি ত্রুটির জন্য পেমেন্টটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে আটকে আছে। যা সমাধানের জন্য তারা ১০ দিন সময় চেয়েছে অভিযোগকারী আরো জানায় এই বিষয়ে তিনি রিং আইডিকে অভিযুক্ত করে কোন অভিযোগ কোথাও করেননি আর রিং আইডি নিয়ে তার কোন অভিযোগও নেই। তার বরাত দিয়ে যে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে তার আদতে কোন সত্যতা নেই ‘
রিং আইডি কর্তৃপক্ষ এই প্রসঙ্গে জানান, এগিয়ে যাওয়ার পথে এমন হাজারও বাধা আসবে, বাধা দেখে থেমে গেলে তো এই দেশটাই স্বাধীন হতো না। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি এবং শিগগিরই যথার্থ আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রিং আইডি বাংলাদেশে তৈরি একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা সামাজিক ব্যবসায়িক মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর প্রযুক্তিগত গবেষণা ও বিভিন্ন ফিচার নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে এর উদ্যোক্তাগণ কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে ম্যাসেজিং, ভয়েস কল, ভিডিও কল ও নিউজফিড (টাইমলাইন) নিয়ে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে যাত্রার শুরু করে রিং আইডি।