টুইটারের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইডের ক্ষেত্রে ‘টুইটার ব্লু’ সাবস্ক্রিপশন সেবার খরচ চার ডলার ৯৯ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ১৯ ডলার ৯৯ সেন্টে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ইলন মাস্ক। এমন খবর বেরুনোর পরপরই নড়েচড়ে বসেন আমেরিকান হরর লেখক স্টিফেন কিং।
ক টুইটে তিনি লেখেন- ‘ওই নীল টিকচিহ্ন রাখার জন্য মাসে ২০ ডলার? গোল্লায় যাক! ওদেরই বরং আমাকে ফি দেওয়া উচিৎ। আর, এর যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে আমি এনরনের মতো নেই হয়ে যাব। ’
এর জবাবে টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক লেখেন- ‘আমাদের তো কোনো না কোনোভাবে বিল দিতে হবে। আর আয়ের জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর তো পুরোপুরি নির্ভর করতে পারবে না টুইটার। আচ্ছা, আট ডলারে কেমন হয়?’
১ নভেম্বর টুইটার ব্লুয়ের খরচ আট ডলারে রাখার খবর জানিয়ে মাস্ক আরও বলেছেন, দেশভেদে সেবাগ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে মূল্য সমন্বয় করবেন তিনি।
টুইটারে ব্যবহারকারীর আইডির পাশে একটি নীল টিক চিহ্নের ব্যাজ থাকার অর্থ হলো, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যে ব্যক্তি বা কোম্পানির হাতে পরিচালিত হওয়ার দাবি করা হচ্ছে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে টুইটার।
বর্তমানে বিনা খরচে টুইটার ব্যবহারের সুযোগ পান বেশিরভাগ ব্যবহারকারী। বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কেবল বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর নির্ভর না করে সরাসরি ব্যবহাকারীদের কাছ থেকে কোম্পানির আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন মাস্ক।
মঙ্গলবারের টুইটে মাস্ক বলেছেন, টুইটের পাল্টা উত্তর, ‘মেনশন’ আর সার্চের ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব পাবেন নামের পাশে নীল টিক চিহ্ন থাকা ব্যবহারকারীরা। দীর্ঘ ভিডিও ও অডিও কনটেন্ট পোস্ট করতে পারবেন এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের তুলনায় অর্ধেক বিজ্ঞাপন দেখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মাস্কের মালিকানায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজস্ব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের নামের পাশে নীল টিক চিহ্ন বসিয়ে দিত টুইটার।
সম্প্রতি চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নিয়েছেন মাস্ক। টুইটার দফতরে পা রাখার পর থেকেই কোম্পানির ওপর নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথমেই প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নেড সিগাল এবং আইন ও নীতিমালাবিষয়ক শীর্ষ নির্বাহী বিজয়া গাড্ডেকে ছাটাই করেছেন।