বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলতে বলতে প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে ফেসবুক লাইভে যান লক্ষ্মীপুরের সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী আবদুস শহীদ। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
এমনই ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চর উভূতি গ্রামের তোফায়েল হাজী বাড়িতে সোমবার (৬ জুন) রাত ১১টার দিকে।
এ সময় ডাকাতদলের গুলিবর্ষণে ভয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রাণ ভিক্ষা চান ওই পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ শাহাদাত সৌরভ। তার লাইভ ভিডিওতে গুলির আওয়াজ শোনা যায়। দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাতরা বাসায় ঢুকতে পারেনি। তবে লাথি মেরে দরজা ভাঙার জন্য চেষ্টা চালায়। তবে মানুষ জড় হয়ে যাওয়া চম্পট দেয় অজ্ঞাতরা।
ব্যবসায়ী আবদুস শহীদের ছেলে সৌরভদের স্থানীয় ডিপুটি বাজারে সার-কীটনাশকের ‘শাহজাদ ট্রেডার্স’ নামের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সৌরভ জানিয়েছেন, রোববার (৫ জুন) তাদের দোকানে হালখাতা ছিল। সোমবার এক ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার জন্য তাদের কাছে দুই লাখ টাকা রাখেন। তাদের ঘরে প্রায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিল। এজন্যই ডাকাতদল হামলা চালায়। কিছুক্ষণ পর পর গুলি করে তারা। দরজায় লাথি মেরে ভাঙতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। লোকজন এলে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও নোয়াখালীর সদর উপজেলার বর্ডার এলাকা তেওয়ারীগঞ্জের আন্ধারমানিক ও পূর্ব চর উভূতি গ্রাম। ওই এলাকায় প্রায়ই ডাকাতিসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটে। সেখানে ডাকাতি শেষে হত্যার ঘটনাও রয়েছে।
সৌরভ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুলির শব্দে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। তাই সবার সহায়তার জন্য ফেসবুক লাইভে গিয়েছি। পরে আশপাশের মানুষ আসতে শুরু করলে ডাকাতরা পালিয়ে গেছে।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু এবং লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।