প্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী জোট- ‘দ্য গ্লোবাল ইন্টারনেট ফোরাম টু কাউন্টার টেরোরিজমে (জিআইএফসিটি)’ যোগ দিয়েছে ভিডিও-কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম জুম। নিজেদের প্লাটফর্মে উপস্থিত সহিংস উগ্রবাদী এবং সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবেলার লক্ষ্যে তথ্য আদান-প্রদান করবে ‘জুমবোম্বিং’ খ্যাত প্রতিষ্ঠানটিও।
“শিল্পের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজে, গবেষণার অগ্রগতি এবং মূল শিক্ষণীয় বিষয়গুলো শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল দুনিয়াকে সবার জন্য নিরাপদ করে তুলতেই এই জোটে যোগ দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন জুমের জ্যেষ্ঠ আইন উপদেষ্টা জশ পারেকি।
জিআইএসসিটি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে আছে ‘বিগ টেক’ হিসেবে পরিচিত মেটা ও মাইক্রোসফট, টুইটার, ইউটিউব এবং অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের মতো একাধিক মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
২০১৭ সালে, প্যারিস ও ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন ও ইউরোপিয়ান সরকারগুলোর চাপের মুখে গঠিত হয়েছিল জিআইএফসিটি। চলতি বছরে নতুন পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের যোগদানের পর সংগঠনটির সদস্যা সংখ্যা বেড়েছে ১৮-তে। ২০২২ সালে সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছে মেটা’র মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ, পিন্টারেস্ট, অ্যামাজন ডটকম, চ্যাট প্ল্যাটফর্ম ডিসকর্ড এবং ফাইল-শেয়ারিং সেবা ড্রপবক্স। সংগঠনের মূল সদস্য তালিকায় না থাকলেও ডেটাবেইজে প্রবেশাধিকার আছে রেডিট এবং স্ন্যাপচ্যাটের মূল প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের।
রয়টার্স জানিয়েছে, সংগঠনটি একটি ‘হ্যাশ-শেয়ারিং’ ডেটাবেজ পরিচালনা করে। সদস্যরা ‘হ্যাশ’ শেয়ার করেন ওই ডেটাবেজে। ওই ‘হ্যাশগুলো’ আদতে কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে দেওয়া মূল কন্টেন্টের সংখ্যাসূচক প্রতিনিধিত্ব করে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ‘হ্যাশ’ ব্যবহার করে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে দেওয়া নেতিবাচক কন্টেন্টের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারে।