‘সে আর নাই’। স্বামীর মৃত্যুর দুঃসংবাদ ফেসবুকে পোস্ট করে এভাবেই লিখলেন দেশের আলোচিত ডিজিটাল ক্রিয়েটর, নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। আরও লিখেছেন, ‘আমাকে সারা জীবনের মতো একা করে চলে গেছে।’
ভেরিফায়েড সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তনির পোস্ট থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার ব্যাংককের সময় দিনগত রাত ৩টা ০৩ মিনিটে সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তার স্বামী শাহাদাত হোসাইন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন তনির বয়োজ্যেষ্ঠ স্বামী। তাকে নিয়ে প্রায়ই ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতেন এই নারী উদ্যোক্তা। নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন দাম্পত্য জীবনের নানা মুহূর্ত। যার কারণে প্রায়ই কটাক্ষের শিকার হতেন তারা।
গত বছর অক্টোবরের শুরুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তনি তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। দুই মাস ধরে তনি দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছিলেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন তানির ৩৮ বছরের বয়জৈষ্ঠ স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। তবে শেষ পর্যন্ত এই সহধর্মীর জন্য লড়াই করেছেন। নিজের পেজে সেই আর্তনাদও প্রকাশ করেছেন অস্ফূট স্বরে। খরচ মেটাতে স্বামীর মৃত্যুর দিনেও ফেসবুক লাইভে কাপড় বিক্রির মার্কেটিং করতে দেখা গেছে তাকে। বিকেলে শেষ ভিডিওটিতে বিমর্ষ ছিলেন তিনি। ছিলেন আনমোনা। সেই ভিডিওতেই জানিয়েছিলেন, লাইভ শেষেই রাত দুইটার ফ্লাইটে কোমায় থাকা স্বামীর কাছে ফিরবেন তনি। অনেকটা অসম্পূর্ণ রেখেই লাইভ প্যাকআপ করেন।
শাহাদাৎ-তনির ঘরে রয়েছে এক মেয়ে-এক ছেলে।
প্রসঙ্গত, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী ছিল। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।
যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়সই কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। যেসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ফ্যাশন হাউস “সানভিস বাই তনি”-এর স্বত্বাধিকারী তনি। সারাদেশে তার ১২টি শোরুম রয়েছে।