বিস্ফোরণের শুরুটা হয়েছিলো ‘রাজাকার’ গাল দিয়ে। আর শেষটা গড়ায় ‘সন্ত্রাসী’ তকমায়। এর ফলে সংস্কার দাবি থেকে এক দফা এক দাবি পূরণে কারফিউ ও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ছুটেছিলেন জনতা। শত শহীদের রক্তের দাবি নিয়ে সোমবার বিকেলে মেলে মুক্তির স্বাদ।
সোমবার বিকেলে পতন ঘটে তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশ হতেই বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ যুক্ত করে বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করেন ফেসবুক, এক্স ও টিকটক ব্যবহারকারীরা।
এর মধ্যে ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রায় ৩১ লাখ ব্যবহারকারী ভিডিও বেশি প্রকাশ করেছেন মাত্র ছয় ঘণ্টায়। একই হ্যাসট্যাগে টিকটকে প্রকাশিত হয়েছে ১৫ লাখের বেশি ভিডিও। এছাড়াও সাবেক মাইক্রোব্লগ টুইটার তথা এক্স-এ রাত নয়টা পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা শেয়ার করেছেন এক লাখের বেশি ‘শেখ হাসিনা’ হ্যাশট্যাগযুক্ত পোস্ট। পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশি শব্দের ট্রেন্ড বেশি দেখা গেছে এই সোশ্যাল হ্যান্ডেলটিতে।
অপরদিকে মেটার মালিকানাধীন সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক প্রোফাইল ছবিতে লাল রঙের প্রাধান্য রয়েছে এখনো। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকার ছবি, লাল-সবুজ রঙে নানা দৃশ্যের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে বিজয়োল্লাস করেছেন ব্যবহারকারীরা। এ সময় ‘বাংলাদেশ’ হ্যাশট্যাগ ছাড়াও ‘স্বাধীনতা’, ‘বিপ্লব’সহ উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন হ্যাশট্যাগের ব্যবহার হয়েছে বেশুমার। ফেসবুক স্টোরিতে ‘স্বাধীন’ শব্দ লিখে নিজেদের আবেগ প্রকাশের পাশাপাশি ফেসবুক মেসেঞ্জারের নোটে বাংলাদেশের পতাকা শেয়ার করেছেন অনেক ব্যবহারকারী।
একইভাবে ছবি শেয়ারের প্লাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীরা ‘বাংলাদেশ’, ‘ফ্রিডম’, ‘শেখ হাসিনা’ শব্দযুক্ত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও বেশি পোস্ট করেছেন। আর এক্স-এ ‘স্টেপডাউন ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ হ্যাশট্যাগযুক্ত পোস্ট দেখা গেছে ৭০ হাজারের বেশি। ‘বাংলাদেশ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে আট লাখের বেশি পোস্ট করা হয়েছে এক্সে। ‘ভিক্টরি’, ‘ইনডিপেনডেন্স’ হ্যাশট্যাগের পাশাপাশি পলিটিকস শ্রেণিতে শীর্ষে আছে ‘শেখ হাসিনা’ হ্যাশট্যাগ।