পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ২০ উপজেলার মধ্যে গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবায় ভোটের ফলাফল সংগ্রহে ব্যবহৃত হবে ট্যাব। প্রথমবার ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে পাইলট প্রহল্প হিসেবে ম্যাক্সিমাস টি২ ব্র্যান্ডের ট্যাবটি ব্যবহার করে ভোটের ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার পর সফটওয়্যার হালনাগদ করে ফের সেন্টার রেজাল্ট ডিসক্রিমিনেশন অ্যান্ড রিপুটিং (সিআরডিআর) অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর ট্যাবটি দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ট্যাব প্যারালাল সিস্টেম হিসাবে ইভিএমের কেন্দ্রগুলোতে ব্যবহার হবে এগুলো।
এবার যদি বাগড়া না দেয় তবে উৎরে যাবে। তা না হলে কপাল মন্দ হতে পারে কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড সরবরাহকৃত এই ট্যাবগুলোর।
জানাগেছে, ট্যাবটি ব্যবহার করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্চ বন্দর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবা ভোট কেন্দ্রের সার্বিক প্রতিবেদন এবং ফলাফল পাঠানো হবে। এজন্য প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। গোপন নম্বর ও সঙ্কেত দিয়ে অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করে এর মাধ্যমে প্রিজাইডিং অফিসার দুই ঘণ্টা পর পর ভোটকেন্দ্রের প্রতিবেদন পাঠাবেন।
পরবর্তীতে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনার পর প্রাপ্ত ফলাফল ও বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন। একই সাথে তিনি ট্যাবের অ্যাপ্লিকেশনে প্রাপ্ত ফল এন্ট্রি করবেন এবং প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরকৃত ফাল বিবরণীর ছবি তুলে ফলাফলের সাথে সংযুক্ত করে পাঠাবেন। কারিগরি সহায়তার জন্য ভোটকেন্দ্রে কম্পিউটার সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
ইসির সিনিয়র মেইন্টেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, ম্যাক্সিমাস টি২ ব্র্যান্ডের ট্যাবগুলোতে পাঁচ ধরনের সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো হলো- ক্রেডিনশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার, পোলিং পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, ইলেকশন শিডিউল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, রেজাল্ট কাউন্টিং অ্যান্ড ডিকলেরাশন সিস্টেম ও সিস্টেম ডকুমেন্টশন। আর পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য কেনা হয়েছে সার্ভারও। এবার এই সিস্টেমটি সফলভাবে ব্যবহার করা গেলে পরবর্তীতে নির্বাচনেও ট্যাব কাজে লাগানো হবে।