দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণে উৎসাহ দিতে মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক কর নির্ধারণে সরকার যে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিল আসন্ন বাজেটে তা-ই অপরিবর্তিত থাকছে। তবে আমদানীকৃত মোবাইলে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। এছাড়াও মোবাইলফোনে কথা বলার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫% শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে।
একইভাবে দেশে ল্যাপটপ উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে বাজেটে যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে কর ও শুল্কে ৫% ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিদেশী ল্যাপটপ বা পিসি ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করলে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা, ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভও (রফতানিতে আর্থিক প্রণোদনা) পাবে।
মোবাইল ফোন আমদানিতে বর্তমানে ৩২ শতাংশ শুল্ক ও কর দিতে হয়। অন্যদিকে দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের কর বর্তমানে ১৪ শতাংশ।
অন্যদিকে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়া বাকি সব সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়াও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং আরও ১ শতাংশ আছে সারচার্জ। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সরাসরি কর রয়েছে ২২ শতাংশ। নতুন প্রস্তাব পাস হলে এ হার হবে ২৭ শতাংশ।ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভ্যাট একটু কম হওয়ায় সেখানে মোট করের হার দাঁড়ায় ১৪ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।এবার ৫ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেটের ব্যয় মেটাতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে খড়গ পড়ছে মোবাইল ব্যয় ব্যবহারকারীদের ওপর।