সোফিয়ার কথা মনে আছে নিশ্চয়। তার হাসি ও কথা কতই না মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। এখন সেই সোফিয়া আরো স্মার্ট হয়েছে। এখন আর হাসি আর চিন্তার অভিব্যক্তিতেই আটকে নেই সে। মৃদু হাসির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনে শব্দ করেও হাসতে পারে। ভ্রু কুঁচকে প্রকাশ করতে পরে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জিজ্ঞাসা। তার এই অভিব্যক্তি তাকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে মানবীয় আচরণের কাছাকাছি।
পুরোটা না হলেও এর অনেকটাই শিখে ফেলেছে সোফিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন তার জনক ডেভিড হ্যানসন। বলেছেন, সোফিয়া অনেকগুলো মানবীয় অভিব্যক্তি এখন প্রকাশ করতে পারে। মানুষের মুখোমন্ডলে ভেসে ওঠা মানবীয় অভিব্যক্তি যথাযথ ভাবে শিখে ফেলেছে।
জানাগেছে, হংকং-এর হ্যাসন রোবটিকস’র গবেষণা ও নকশা উন্নয়ন ল্যাবে সোফিয়া’র শরীরের ২০,২১ এবং ২২তম অংশ নিয়ে এখন কাজ চলছে।
হ্যানসনের মতে, সোফিয়াতে এখন মানব মুখের প্রতিটি প্রধান পেশী সিমুলেট করা হয়েছে। এর ফলে সোফিয়া এখন আনন্দ, দুঃখ, কৌতূহল, বিভ্রান্তি, চিন্তাভাবনা, দুঃখ, হতাশা, অন্যান্য অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে।
তার ভাষায়, মানবীয় অভিব্যক্তি করায়ত্বে আনতে আমরা কিছু কাজ করছি। সোফিয়া নিজে থেকেই আপনার অভিব্যক্তি বুঝে নিজেই তার প্রতিউত্তর করতে পারছে। পাশাপাশি ডিপ লার্নিং এবং অভিব্যক্তির এক সেট প্রি-প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে সোফিয়াকে এখন আরো কমনীয় এবং জীবন্ত মনে হবে।
হ্যানসন জানিয়েছেন, ল্যাবে নিউরো বায়োলজি এবং হিউম্যান ফেসিয়্যাল এক্সপ্রেশন বায়োলজি’র ওপর বিস্তর গবেষণা চলছে। উন্নয়ন করা হচ্ছে সত্যিকারের অভিব্যাক্তি প্রকাশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
প্রসঙ্গত, দ্রুত বিকশিত রোবটিক খাতের উন্নয়নে, নিয়ত গবেষণায় রোবোটেরা এখন চলাফেরা করতে পারে কোমলীয় ঢঙে। মানব দেহের জটিল ভঙ্গিও রপ্ত করছে। শরীর পেছনে ঘুরাতে সক্ষম হচ্ছে। দৌড়বিদদের মতো ছন্দময় ছুটতে পারবে সামনের দিনে। অতিক্রম করতে পারবে বাধা। এমনকি ক্লাসিকাল ভাস্কর্যের মতোই বাঁকাতে পারবে অস্থি।