প্রযুক্তি ও ক্যামেরা ব্যবহারের দিক থেকে এবারের বিশ্বকাপের কাভারেজ হবে অভূতপূর্ব। আইসিসি টিভি’র সম্প্রচার, অ্যাপের ব্যবহার এবং মাঠে মাড়শা ক্যামেরা সব মিলিয়ে প্রযুক্তির এই আয়োজনকে বলা হচ্ছে ‘স্টেট-অব-দি-আর্ট’।
এমনটাই দাবি করেছেন আইসিসি’র ব্রডকাস্ট ও ডিজিটাল বিভাগের গণমাধ্যম মুখপাত্র আরতি দাবাস।
তিনি বলেন, আইসিসি টিভি’র জন্য একটা প্রযুক্তি দক্ষ ও চৌকস দল পেয়ে আমি সত্যি উচ্ছ্বসিত। এই দল বিশ্বের বিলিয়ন ক্রিকেট প্রেমীকে উজ্জীবিত করবে। মাঠের প্রাণচ্ছ্বাস পৌঁছে দেবে প্রতি প্রাণে।
আইসিসি কর্তৃপক্ষ বলছেন, এবারের বিশ্বকাপ হতে পারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে চমকপ্রদ, উপভোগ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এই প্রথমবারের মতো ম্যাচের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলোর রি-প্লে ও সেই সাথে বিশ্লেষণ এমনভাবে এবার টিভি দর্শকরা দেখবেন যে অভিজ্ঞতা আগে তাদের কখনো হয়নি। এই ‘৩৬০ ডিগ্রি’ রিপ্লেতে কয়েকটি ক্যামেরার ফুটেজ যোগ করা হবে। পেইরো’র ততোধিক ক্যামরা ফিডের মাধ্যমে খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর গভীর বিশ্লেষণ করার অবকাশ থাকবে মুহূর্তেই।
জানাগেছে, প্রতিটি ম্যাচে মাঠে কমপক্ষে ৩২টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে যেগুলোর আটটি থাকবে ‘আলট্রা-মোশন’ ‘হক-আই’ ক্যামেরা। স্ট্যাম্পের সামনে ও পেছনে দুদিকেই ক্যামেরা থাকবে। সেইসাথে মাঠের ওপর টাঙানো দড়িতে থাকবে চলমান ব্যাটক্যামের ‘স্পাইডার ক্যামেরা’। আকাশে থাকবে ড্রোন চালিত ক্যামেরা যা দিয়ে ওপর থেকে পুরো স্টেডিয়াম এবং আশাপাশের ছবি দেখবেন দর্শকরা। ব্যবহার করা হচ্ছে প্লেয়ার ট্রাকিং প্রযুক্তি। খেলার গভীর বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রিকভিজ অ্যাপ।
স্ট্যাম্প বেলে বলের ছোঁয়া লাগার বিষয়টি নখদর্পনে আনতে ব্যবহৃত হচ্ছে আল্ট্রা এজ ও হটস্পট প্রযুক্তি।
টিভি নিয়ে বসা থার্ড আম্পায়ার, রিপ্লে, হক-আই, স্নিকোমিটার, স্টাম্প ক্যামেরা, ডিআরএস ক্রিকেট বিশ্বকাপে এগুলো নতুন না হলেও এবার এই ডিভাইসগুলোতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। অ্যপ্লিকেশনে যুক্ত হয়েছে বিচক্ষণতা। সংযোগ ঘটেছে কিত্রিম বুদ্ধিমত্তার।
দেড় মাস ধরে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১১টি মাঠে এই টুর্নামেন্ট হবে। তবে বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ৪৬ দিন ধরে বিশ্বকাপের ৪৮টি ম্যাচ দেখবে টিভিতে।