সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি ভাবেই দেশের সাইবার আকাশ নিরাপদ করতে সক্ষমতা অর্জন করছে সরকার। ১০ মিনিটের মধ্যে রুখে দিতে সক্ষম হবে সাইবার হুমকি। এরমাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাবে ফেসবুক, গুগল, টুইটার কিংবা ফেক ওয়েব ঠিকানা থেকে অপ্রপচার, আপত্তিকর মন্তব্য, পোস্ট বা ভিডিও ছড়ানোর পথ। বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে কাজ করবে এই ডিজিটাল ছাকনি ব্যবস্থা।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স’ প্রকল্পের অধীনে দেশের ভার্চুয়াল আকশকে নিরাপদ রাখতে সেখানেই স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
১৫৯ কোটি টাকা বাজেটের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারকে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে দেশের ২৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং তিনটি ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জকে (নিক্স)।
সূত্রমতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ভার্চুয়াল আকাশের নিরাপত্তা ব্যস্থাপনা পরিচালনা করলেও ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসিও এটি ব্যবহার করতে পারবে।
অবশ্য বিটিআরসি’র পরিচালনায় ইতিমধ্যেই এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২২ হাজার পর্ণ এবং আড়াই হাজারের মতো গ্যাম্বলিং সাইট বন্ধ করা হয়েছে।
প্রকল্পের সক্ষমতায় দেখা গেছে, আপত্তিকর কনটেন্ট সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট, লিংক, পোস্ট, ভিডিও আটকাতে এবং তা বিকল্প পথে চালুর চেষ্টা বন্ধ করতে ১০ মিনিটই যথেষ্ট।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগেই আংশিক সফলতা মিলেছে। এখন ওয়েবসাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে। আর কমেন্ট, স্ট্যাটাস ও ভিডিও লেভেলে সুনির্দিষ্টভাবে অ্যাড্রেস করার কাজ চলছে। দেশেই প্রযুক্তিগ সক্ষমতা অর্জনে এটা করা হচ্ছে।