সাত বছর বয়সে বিদায় নিলো ‘গ্রাম্পি ক্যাট’ বা গোমড়ামুখো বিড়াল। গোমড়ামুখে বিড়ালটির আসল নাম ছিল ‘টার্ডার সস’। তার মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ আবারো তর ছবিসহ মিম শেয়ার করা শুরু করে। ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অকাল প্রয়াত এই গোমরামুখী বিড়ালের ফলোয়ারের সংখ্যা ২০ লাখরেও বেশি।
অনলাইন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তার ছবি শেয়ার করে রচিত হচ্ছে বিষাদগাঁথা। গোমরামুখো বিড়ালের অন্তর্ধানে আনন্দদায়ক ইন্টারনেটের ইতি ঘটছে বলে খবর দিয়েছে আর্স টেকনিকা।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টিগ্রামসহ প্রভাবশালী অনলাইন পোর্টালে তাকে স্মরণ করা হচ্ছে- ওয়েবের নির্বোধ দিনগুলির অবতার হিসেবে।
বিড়ালের মালিক মিজ তাবিথা বুন্দেসেনে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মূত্রাশয়ে ইনফেকশনের কারণে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিড়ালটি মারা যায়।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে বিড়ালটির রাগান্বিত অভিব্যক্তির একটি ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়, আর তারপরই ঐ ছবিটি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন অনলাইন ‘মিম’ তৈরিতে।
বিড়ালের মালিক তাবিথা বুন্দেসেনের মতে, বিড়ালটির মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ধরণের রোগ থাকার কারণে এটি সবসময় বিশেষ ধরণের মৌখিক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতো।
জীবদ্দশায় ২০১৪ সালে বিড়ালটিকে নিয়ে বানানো হয় বড়দিনের চলচ্চিত্র। ২০১৫ সালে স্যান ফ্রান্সিসকোর মাদাম তুস্যো জাদুঘরে বিড়ালটির একটি মোমের মূর্তিও উম্মোচিত হয়। আর ২০১৮ সালে একটি কপিরাইটের মামলায় ৭ লক্ষ ১০ হাজার ডলার অঙ্কের অর্থ জরিমানা পান বিড়ালটির মালিক।