ই-লার্নিংয়ের পথিকৃৎ বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বদরুল হুদা খান। বছরের সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হলো তার লেখা “মাইক্রোলার্নিং” বই। ডিসটেন্স এডুকেশনে ২০২১ সালের সেরা বই হিসেবে এই স্বীকৃতি দিয়েছে শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার মূল্যায়নের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশনাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড টেকনোলজি’ (এইসিটি)।
তাঁর ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক বইটির উপর ভিত্তি করে লেখা হয় ‘মাইক্রোলার্নিং’ বইটি।
বিশ্বে মডার্ন ই-লার্নিংয়ের পথিকৃৎ ড. বদরুল হুদা খানের ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক বইটি ২০১৬ সালে বাংলায় অনুবাদ করেছে এটুআই। অনূদিত বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ই-লার্নিং: উন্মুক্ত শিখন পরিবেশ।
ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্কের বইয়ের সাথে মাইক্রোলার্নিং বইটির পার্থক্য ডিজিবাংলার সাথে তুলে ধরেন বদরুল হুদা খান।
শিক্ষার প্রযুক্তি ব্যবহারে অবজেক্টিভ নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
নেটিজেনরা চাইলেই বিনামূল্যে ই-লার্নিয়ের ই-বুকটি ডাউনলোড করা যাবে বলেও জানান এই শিক্ষা-বিজ্ঞানী।
ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক বইটির মধ্যে ই-লার্নিং কী, এর উপাদান ও বৈশিষ্ট্য, গতানুগতিক শিক্ষাদান ও ই-লার্নিং, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ই-লার্নিং, অনলাইন লার্নিং পরিবেশ সম্পর্কিত নীতিমালা, শিখনসামগ্রী ব্যবহার করে কোর্স পরিকল্পনা ও পরিচালনাসহ ই-লার্নিংয়ের আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানার সুযোগ রয়েছে।
উন্নত দেশগুলোর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. বদরুল হুদা খানের তৈরি করা ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ককে ভিত্তি ধরে চালু করেছে পিএইচডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কোর্স।
কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও ই-লার্নিংয়ে পৃথক পরিকল্পনা দিয়েছেন তিনি। ন্যাটো ই-লার্নিং ফোরামও তার ফ্রেমওয়ার্ক ধরেই কাজ করছে।
ই-লার্নিং নিয়ে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তার বই ‘ওয়েব-বেইজড ইনস্ট্রাকশন’ যুক্তরাষ্ট্রে বেস্ট সেলার। বইটি বিশ্বের প্রায় ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক ও রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ই-লার্নিংয়ে তার বিভিন্ন বই প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের ৩২টি ভাষায়।