এনক্রিপ্টেড ম্যাসেজিং প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপেও হানা দিয়েছে হ্যাকাররা। ইসরায়েলে তৈরি একটি স্পাইওয়্যার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই আ্যাপটি আপডেট করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তারা দাবি করছে, এই অ্যাপটি হালনাগাদ করে নিলে যার অ্যাকাউন্ট- তিনি ছাড়া আর কেউ এতে কোনোভাবে ঢুকতে পারবে না, জানতে পারবে না তিনি কি বলছেন, কি বার্তা বিনিময় করছেন- তার গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। নিরাপদ থাকতে আপনি নিচের পদক্ষেপগেুলো অনুসরণ করতে পারেন।
অ্যাপ আপডেট করুন
তাই হোয়াটসাঅ্যাপ ব্যবহারকারী মাত্রই চোখ বুজে আগে ভাগেই অ্যাপটি হালনাগাদ করে নিন। তবে অবশ্যই আপডেট আপনাকে করতে হবে নিজে নিজে- যাকে বলে ম্যানুয়েলি। কারণ অ্যাপস্টোরের মাথায় সেই লাল ডটের হাতে এটা ছেড়ে দিলে চলবে না, যেহেতু অ্যাপটি হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
ব্যকাআপ ডিজঅ্যাবল করুন
যদি আপনি নিজে বা আপনার কোন বন্ধু আপনাদের মধ্যকার হোয়াটসঅ্যাপের কথাবার্তা আইক্লাউডে বা গুগলড্রাইভে ব্যাকআপ করে রাখেন- তাহলে একটা সমস্যা আছে। সেটা কিন্তু এনক্রিপ্টেড নয় অর্থাৎ গোপনীয়তার সুরক্ষা এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না। তাই গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইলে আপনি ব্যাকআপ ডিজএ্যাবল অর্থাৎ অকার্যকর করে দিতে পারেন। আপনার সেটিং-এ গিয়ে চ্যাট ব্যাকআপ অপশন থেকে আপনি এটা করতে পারেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করুন
যেকোনো তথ্য নিরাপদ এবং অন্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখার জন্য মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন একটা ভালো উপায়। এর মাধ্যমে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে আপনি নিজে ছাড়া অন্য কারো ঢোকার পথে একটা অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেয়াল তুলে দেওয়া যায়। ফলে সেটিংএ গিয়ে এই অপশনটি চালু করুন।
প্রাইভেসি অপশনগুলো দেখুন
হোয়াটসঅ্যাপসহ অনেক অ্যাপেরই নানা রকম নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি সেটিং>অ্যাকাউন্ট>প্রাইভেসিতে যান তাহলে আপনি সবই দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন আপনার প্রোফাইল ফটো, বা আপনি কোথায় ছিলেন বা আছেন তা কে কে দেখতে পারবেন। আপনি ‘read receipt’ অর্থাৎ কারো পাঠানো বার্তাটি যে আপনি পড়েছেন তার প্রমাণ স্বরূপ সেই টিক চিহ্নটা সুইচ অফ করে দিতে পারেন। ওয়েব ব্রাউজারে লগইন করা থাকলে তা কাজ শেষে সঙ্গে সঙ্গে সাইনআউট করুন।