২০১৯ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সাপ্লাই চেইন থেকে হুয়াওয়েকে কোনো সেবা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর ফলে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের সাথে কাজ করার সুযোগ হারায় হুয়াওয়ে। ফলে হুয়াওয়েকে হয় অ্যান্ড্রয়েডের ওপেনসোর্স সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে অথবা নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে হবে। এরপর জানা যায়, হুয়াওয়ে নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ করছে।
২০১৯ সালেই হুয়াওয়ে হুয়াওয়ে ঘোষণা দেয় যে, হুয়াওয়ের স্মার্টফোনসহ অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েডের বদলে হারমোনিওএস আনা হবে। ওই বছরের ৯ আগস্ট প্রাথমিক সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়। গত ৮ অক্টোবরে অপারেটিং সিস্টেমটির পাবলিক বেটা উন্মোচনের পর ২২ অক্টোবর হারমোনিওএস নেক্সট উন্মুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ডিভাইসে নতুন সংস্করণটি উন্মুক্ত হয়েছে।
আগামী বছরে হারমোনিওএস নেক্সট আরও কয়েকটি ডিভাইসে উন্মুক্ত করা হবে।
হারমোনিওএস নিয়ে হুয়াওয়ের লক্ষ্য কী? কোম্পানিটি বলছে, হারমোনিওএস নেক্সট হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। মূলত অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের পরের অবস্থানটি ধরতে চাচ্ছে হুয়াওয়ে।
আর এই লক্ষ্য নিয়ে, হারমোনিওএস নেক্সটে বেশকিছু এআই ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। লক স্ক্রিণকে আইওএসের লক স্ক্রিণের মতো করা হয়েছে। ফোনের ওয়ালপেপারের সাথে মিল রেখে উইজেট স্থানান্তরের সুযোগও আনা হয়েছে।
হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের চেয়ারম্যান রিচার্ড ইউ জানান, হারমোনিওএস নেক্সট ইকোসিস্টেমে ইতিমধ্যে ১৫ হাজারের অধিক অ্যাপস ও সেবা রয়েছে। এই সংখ্যা বৃদ্ধি চলমান রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নের অধিক ডিভাইসে হারমোনিওএস ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ডিবিটেক/বিএমটি