মানুষ ও পরিবেশের উপর মোবাইল ফোন টাওয়ারের প্রভাবের মাত্রা নির্ণয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে চার মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফায়েত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।
সাত বছর আগে ২০১২ সালে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী মনজুর মোরশেদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া আদালতের নির্দেশনায়, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, হেরিটেজ স্থানসহ জনজীবনে মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণের মাত্রার বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।
বিটিআরসির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানিয়েছেন বিচারকদ্বয়। একই সঙ্গে তারা কমিশনের আগের প্রণয়ন করা এ সংক্রান্ত নীতিমালা স্থগিত রাখতেও নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘২০১২ সালে একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন প্লানিং এডিটর ও বিশেষ প্রতিনিধি হারুন উর রশীদের করা ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানে মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এরপর এ ধরণের প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।’
রিটের প্ররিপ্রেক্ষিতে আদালত রেডিয়েশনের মাত্রা পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাবের বিষয়ে দুটি আলাদা প্রতিবেদন দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিষয় প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেয়। বিটিআরসিও এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করে।
প্রসঙ্গত দেশজুড়ে পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটরের ৩৫ হাজার টাওয়ার রয়েছে।