যারা ছবি নিয়ে কাজ করেন তাদের প্রথম পছন্দ অ্যাডোবি ফটোশপ। অ্যাডোবি ফটোশপ মিক্স নামে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য অ্যাপ থাকলেও সেটিতে ফটোশপের খুবই বেসিক ফিচার রয়েছে, যা বেশিরভাগ ব্যবহারকারীকে সন্তুষ্ট করে না। আর তাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের জন্য ফটো সম্পাদনার নানা অ্যাপ খুঁজে বেড়ান। তাদের জন্যই যথাযথ একটি অ্যাপ স্ন্যাপসিড।
স্ন্যাপসিড হলো গুগল প্লে স্টোরের টপ-রেটেড ফটো এডিটিং অ্যাপ। বলা চলে, এটি অ্যাডোবি ফটোশপের কম্পিউটার সংস্করণের মতোই। যেখানে রয়েছে ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেস।
২০১১ সালে নিক সফটওয়্যার কোম্পানি আইপ্যাডের জন্য প্রথম স্ন্যাপসিড উন্মোচন করে। সেটি সফল হওয়ার পর ঐ বছরেরই আগস্ট মাসে আইফোনেও আসে অ্যাপটি। ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি উন্মোচন করা হয় উইন্ডোজ সংস্করণ।
এরপর গুগল নিক সফটওয়্যারকে কিনে নেয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্ড্রয়েডে আসে স্ন্যাপসিড এবং উইন্ডোজ সংস্করণটি বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে রয়েছে এই অ্যাপটি।
অ্যাপটির বিভিন্ন ইফেক্ট, টুলস ব্যবহার করে যেমন ছবিকে মনের মতো ফুটিয়ে তোলা যায়, তেমনিভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ছবির কালার, কনট্রাস্ট ইত্যাদি পরিবর্তন করেও ব্যবহারকারীরা এটি সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া সরাসরি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটে প্রকাশ করতে পারেন।
একটি ছবিতে সাধারণত যত ধরণের এডিটিং টুলসের প্রয়োজন হয় তার প্রায় সবই আছে স্ন্যাপসিডে। রয়েছে হিলিং টুল, স্ট্র্যাকচার, এক্সপোজার, মাস্কিং, ব্র্যাশ ইত্যাদি।
স্ন্যাপসিডের উল্লেখযোগ্য ইফেক্ট ও ফিল্টারের মধ্যে রয়েছে ড্রামা, গ্রুঞ্জ, ভিনটেজ, সেন্টার-ফোকাস, ফ্রেম এবং টিল্ট-শিফট। এছাড়া রয়েছে লেন্স ব্ল্যার, গ্লামার গ্লো, এইচডিআর স্কেক এবং নয়ের।
পুরোপুরি বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য এই অ্যাপটিতে রয়েছে অসংখ্য ফিল্টার। যার মাধ্যমে আপনার ছবিকে ভিন্নমাত্রায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই লিংক থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করতে পারবেন।
ডিবিটেক/বিএমটি